প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইমরান খান আর পাকিস্তানের মসনদে থাকতে পারবেন কি না, তা আজ নির্ধারিত হবে। পাকিস্তানের পার্লামেন্টে আজ রোববার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে এগারোটায় তাঁর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে। পাকিস্তানের সংবিধানে বলা আছে, জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনের সাত দিনের মধ্যে ভোটাভুটি হওয়া বাধ্যতামূলক। সেই বাধ্যবাধকতা মেনেই আজ রোববার ভোটাভুটির দিন ধার্য করা হয়েছে।
পাকিস্তানের সম্প্রচারমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পার্লামেন্টে বিরোধীদের সংখ্যা বেশি হওয়াই ফলাফল ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত বিরোধীদের পক্ষে আছে ১৯৯ ভোট। আর সরকারের পক্ষে আছে ১৪২ ভোট।
জাতীয় পরিষদে মোট আসন রয়েছ ৩৪২টি। প্রেসিডেন্ট ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট প্রয়োজন ১৭২টি। জিও নিউজের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, বিরোধীদের হাতে রয়েছে ১৯৯টি ভোট।
এদিকে গতকাল শনিবার নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ইমরান খান অভিযোগ করে বলেছেন, তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতেই বিরোধীরা বিদেশি শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে এবং অনাস্থা ভোটের নীল নকশা তৈরি করেছে। ভোটের ফল যদি তাঁর বিপক্ষে যায়, তিনি তা মেনে নেবেন না বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।
অনাস্থা ভোট সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ‘যখন পুরো প্রক্রিয়াটিই নিন্দিত, তখন আমি কীভাবে ফলাফল গ্রহণ করতে পারি? গণতন্ত্র নৈতিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে কাজ করে কিন্তু এই যোগসাজশের পরে কোন নৈতিক মূল্যবোধ অবশিষ্ট থাকে?’
তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অনাস্থা ভোটকে তিনি ‘শাসন পরিবর্তনের’ প্রচেষ্টা বলে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পদক্ষেপটি যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে স্পষ্ট হস্তক্ষেপ।’
এদিকে ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে দেশটির বিরোধী দলগুলো বলছে, ইমরান খান করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশটির অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাঁর সরকারকে আরও স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিপূর্ণ করার প্রতিশ্রুতি পূরণেও ব্যর্থ হয়েছেন এবং এ কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন