গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শুত্রুতা করে অসহায় এক কৃষকের জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করে এক বিঘা জমির ইরিধান নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা। উপজেলার পূর্ব রামশীল গ্রামের সঞ্জীত মজুমদারের জমিতে এ কীটনাশক প্রয়োগের বিষয়টি গত রোববার স্থানীয়দের চোখে পরেছে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার সঞ্জীত মজুমদারের ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মধু। গতকাল সঞ্জীত মজুমদারের স্ত্রী শিখা মজুমদার বলেন, কেবা কাহারা শত্রুতা করে আমার একবিঘা জমির ইরিধানে বিষাক্ত কীটনাশক স্প্রে করে নস্ট করে দিয়েছে, এদিকে পহরবাড়ি গ্রামের অতুল হালদারের ছেলে অশোক হালদারের কাছে পাওনা টাকা নিয়ে শত্রুতা চলে আসছিল। এরপরই আমার ছেলে সজীব মজুমদারকে হত্যা করে লাশ পুকুরের জলে ফেলে রেখেছিল, এঘটনায় অশোক হালদারকে হত্যা মামলার আসামি করা হয়। অপর সন্তানটি ও পানিতে পরে মারা গেছে এরপরেও তারা ক্ষ্যান্ত হয়নি। এখন আবার হওয়া ধান নস্ট করে দিয়ে মুখের ভাত কেরে নিল। ছিল মাত্র একবিঘা জমির ধান সেটাও নস্ট করে দিলো। এখন আমি কি ভাবে বাঁচবো তিনি বলেন, আমার পরিবারটাকে তারা ধংস করে দিয়েছে, কাজের সন্ধানে আমার স্বামী দূরে দূরে থাকে, আমার সবকিছু শেষ করে দিয়ে শত্রুরা এখন আমার ঘরের চারপাশ দিয়ে ঘোরাঘুরি করে তাদের ভয়ে আমি একা বাড়ি থেকে বের হতে পারিনা।
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মধু বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে সঞ্জীত মজুমদারের জমিতে আগাছানাশক কীটনাশক প্রয়োগ করে ধানগুলি নস্ট করে দেওয়া হয়েছে। সঞ্জীত মজুমদার বলেন জমিতে যখন বীজতলা দেই তখনো এভাবেই আমার চারাগুলো নস্ট করে দেয়, এখন আবার হওয়া ধানগুলো বিষাক্ত কীটনাশক দিয়ে নস্ট করে দিল। এসব ঘটনার তদন্ত করে এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন