রাজধানীর পুরান ঢাকা ছাড়াও বেইলি রোড ইফতারের জন্য বিখ্যাত। তবে মানসম্মত ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশের ইফতার মানেই বেইলি রোড। তাই অভিজাত শ্রেণি থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সচেতন মধ্যবিত্তরাও ইফতার নিতে ছুটে আসেন বেইলি রোডে। গতকাল সোমবার রমজানের দ্বিতীয় দিনে বেইলি রোডের সব দোকানেই দেখা যায় মানুষের ভীড়। দাম একটু বেশি হলেও এখানের ইফতারকে স্বাস্থ্যকর মনে করেন ক্রেতারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেল ৩টা থেকে এ রোডের প্রতিটি দোকানেই ইফতারি বেচাকেনা শুরু হয়েছে। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের উত্তর পাশে অবস্থিত প্রসিদ্ধ ফখরুদ্দিন রেস্টুরেন্টসহ নবাবী ভোজ, সাউয়াজদি রেস্টুরেন্ট, ঐতিহ্যবাহী পিঠাঘর, থার্টি থ্রি রেস্টুরেন্ট, মিস্টির দোকান রসসহ সব দোকানেই ইফতারের পসরা।
বেইলি রোডের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় ইফতারির দাম এবার কিছুটা বেড়েছে। সাধারণত এখানকার পরোটা, কিমা পরোটা ও টানা পরোটার চাহিদা বেশি। পরোটার সঙ্গে গরু বা মুরগির গোশত কিনছেন ক্রেতারা। আবার গরমের কারণে লাচ্ছি ও ফালুদার বিক্রিও কম নয়।
বেইলি রোডে ৩৬ বছরের পুরনো একটি প্রসিদ্ধ ইফতারির দোকান ক্যাপিটাল ইফতার বাজার। এখানে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বেশ কিছু খাবার বিক্রি হয়। শামি কাবাব, সুতি কাবাব, জাম্বো রোস্ট, ব্রেন মসল্লা, খাসির পা থেকে শুরু করে ইলিশ মাছের পোলাও রয়েছে এ দোকানে। প্রায় ১০০ ধরনের ইফতার আইটেম বিক্রি হয় দোকানটিতে।
বেইলি রোডের পিঠাঘরে হরেক রকম পিঠার পাশাপাশি হালিমসহ বেশ কিছু ইফতারি বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাও অনেক। পিঠার মধ্যে রয়েছে লবঙ্গ লতিকা, মাল পোয়া, রস ফুল, ক্ষীর পুলি, বিবিখানা, সূর্যমুখী ইত্যাদি। অন্যদিকে রোজায় এখানে অস্থায়ী দোকানও গড়ে ওঠেছে। এসব দোকান মালিকরা জানান, বিক্রি চলে ইফতার শুরুর আগ মুহূর্তে। পাশাপাশি বড় বড় ইফতার পাটির্র জন্য প্যাকেট ইফতারিও এসব দোকান থেকে সরবরাহ করা হয়। অনেক তরুণ-তরুণী এখানকার ফুটপাথে বসেও ইফতার করে।
হরেক রকম খাবারের মধ্যে এখানকার বিভিন্ন ধরনের চাপ, কাবাব ও গোশতের নানা ধরনের খাবার রয়েছে। এছাড়া রয়েছে মগজ ভুনা, খাসির হালিম, খাসির গ্রিল চাপ, গরুর চাপ, লুচি, কাচ্চি বিরিয়ানি (খাসি), ফিরনি, খাসির লেগ রোস্ট, বোরহানি, চিকেন রোস্ট (আস্ত), চিকেন ফ্রাই, চিকেন সমুচা, চিকেন ললি, জালি কাবাব, শিক কাবাব, ভেজিটেবল রোল, স্প্রিং রোল, কিমার চপ, পেঁয়াজু, বেগুনি, বেসন চাপ, ছোলা, বাসমতীর জর্দা, চাটনি, পনিরের সমুচা, নিমক পোড়া, বুন্দিয়া, হালিম, দইবড়া, সুতি কাবাব, রেশমি কাবাব ও কিমা পরোটা খুবই জনপ্রিয়। ফাস্টফুড আইটেমের বেচাবিক্রিও ভালো। পিঠা ঘরে রয়েছে ৪০ রকমের পিঠা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন