শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

‘বড় বাপের পোলায় খায়’ এখন বগুড়ায়

মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে | প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০১ এএম

রাজধানীর চক বাজারের বিখ্যাত ইফতার আইটেম ‘বড়ো বাপের পোলায় খায় ‘ এবার বগুড়াতে পাওয়া যাচ্ছে। করোনার কারনে ২ বছর পর বগুড়ায় জমে ওঠা ইফতার বাজারের এটাই এখন মূল আকর্ষণ বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। এছাড়াও ঐতিহ্যবাহী, পিঁয়াজু, বেগুনি, কলানী, লাউনি, ছোলা সেদ্ধ, বুন্দিয়া, পাকোড়া, বড়া, ঝাল ও মিষ্টি পিঠা, ঝুরি চানাচুর, ভাজা বাদাম, মুড়ি, সবধরনের কাবাব, টিকা, কোপ্তা চাইনিজ আইটেম বিক্রি হচ্ছে দেদারসে।

ইফতারের দোকানগুলোতে এবার দৈ, মিষ্টি, হালুয়াও বিক্রি হচ্ছে ব্যাপকহারে। বিক্রি হচ্ছে খিচুড়ি, পোলাও এবং বোরহানিও। বড়ো বাপরে পোলায় খায় ‘আইটেমটি কোথাও ৬০০ কোথাও বা ৮০০ থেকে হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পিঁয়াজু, বেগুনি, চানাচুর, বুন্দিয়া, ঝুরি চানাচুর ও ছোলা সেদ্ধ আইটেমগুলো মান ও স্থানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে। ক্রেতাদের মতে ইফতারের বাজার চড়া।

অপরদিকে বিক্রেতারা বলছেন, সয়াবিন ও সরিষার মতো ভোজ্য তেল ছাড়াও ইফতারে ব্যবহার্য প্রতিটা পণ্যের দাম বেড়েছে। দাম বেড়েছে খড়ি, এলপিজি গ্যাসের। ইফতার আইটেমের মূল্য বৃদ্ধির এটাই আসল কারণ। বগুড়া শহরে ইফতার সামগ্রীর কেনাবেচার ইতিহাস অনেক পুরাতন। বৃহৎপরিসরের ইফতারের বাজার বগুড়ায় না থাকলেও শহর ও শহরতলীর ৫০টি স্পটে বিক্রি হয় ইফতার সামগ্রী। এরমধ্যে বগুড়ার হোটেল আকবরিয়া, শ্যামলী, সান এ্যান্ড সি, সেলিম, হোটেল চত্বর ছাড়াও কালিতলাহাট, মাটিডালি বিমান মোড়, তিনমাথা, চারমাথা, সাবগ্রাম হাট, বখশী বাজার, লোনি বাজারের ইফতার বাজার স্থানীয়ভাবে বেশ প্রসিদ্ধ।

বর্তমানে বগুড়া শহরের অভিজাত আবাসিক এলাকায় আগে ইফতার আইটেমের বাজার ছিলো না। অতি সম্প্রতি এখানে নতুনভাবে গড়ে ওঠা রেস্তোরাঁ পল্লীতেও ব্যাপকভাবে গড়ে উঠেছে ইফতার বাজার। তবে এবার ইফতার আইটেম লেবুর দাম বেশি হলেও খেজুরের দাম মোটামুটি সহনীয় রয়েছে বলে জানা গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, ইফতার সামগ্রীর উৎপাদক বিক্রেতাদের অনেকেই ইফতার তৈরিতে নিম্নমানের ভোজ্যতেল ব্যবহার করছে। এবিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র) বগুড়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কে জি ফারুক ইনকিলাবকে বলেন, এই অভিযোগ যেমন গুরুতর তেমনি সত্য। ইফতার সামগ্রী বিক্রি কেমন জানতে চাইলে বিক্রেতারা বলেন, মোটামুটি। মানুষের হাতেতেমন টাকা-পয়সা নেই । মানুষের হাতে তরল পুঁজি থাকলে হয়তো বিক্রির পরিমাণ বর্তমানের তুলনায় দ্বিগুণ হতো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন