কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নে পেয়ার উদ্দিন (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে তার ঘাতক ছেলে আব্দুল জলিলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আব্দুল জলিলকে কুড়িগ্রাম আদালতে নেয়ার পর তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরির্দশক অনিল কুমার রায় জানান, গত সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখা কামারপাড়া গ্রামে জনৈক নজরুল ইসলামের বাড়ি থেকে অভিযুক্ত আব্দুল জলিলকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি বাড়ি থেকে ২শ’ গজ দূরে একটি ধান ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ রাজু সরকার জানান, গত সোমবার নিহত পেয়ার উদ্দিনের ময়নাতদন্ত রংপুর কোতয়ালী থানায় সম্পন্ন করার পর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে রাত সাড়ে ১০টায় সেলিমনগর জামে মসজিদে নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। নিহতের স্ত্রী গত রোববার যে এজাহারটি করেছেন তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এখন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় পারিবারিক কলহের জেরে বাবা পয়ার উদ্দিনের উপর উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত কওে ছেলে আব্দুল জলিল। এসময় মা জুলেখা খাতুন এগিয়ে আসলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে। পরে মুমুর্ষ অবস্থায় পেয়ার উদ্দিনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন সোমবার দুপুরে মারা যান পেয়ার উদ্দিন। আব্দুল জলিলের তিনটি বিয়ে এবং তৃতীয় স্ত্রী ডিভোর্স দিয়ে যৌতুক ও নির্যাতন মামলা করার পর বাবার কাছ থেকে জমি লিখে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল জলিল। এনিয়ে বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে বাবাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে সে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জুলেখা খাতুন ছেলেকে আসামি করে রাজারহাট থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন