নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা
নীলফামারীতে জিনের বাদশা সেজে বিপুল পরিমাণ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে একই পরিবারের দুই মেয়েকে ধর্ষণ করেছে আফজাল হোসেন নামে এক ভ- প্রতারক। ঘটনাটি ফাঁস হয়ে পড়ায় এখন গা ঢাকা দিয়েছে ওই প্রতারক। এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীদের দেয়া তথ্য মতে নীলফামারী সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের নতুন পুলিশ লাইন্সস্থ পাড়ার আফজাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে জিনের বাদশা সেজে মোটা অংকের টাকা পাইয়ে দেয়ার কথা বলে এলাকার সহজ-সরল মানুষজনের সাথে প্রতারণা করে আসছে। সর্বশেষ ভ- জিনের বাদশার প্রতারণার শিকার হয়ে দুই মেয়ের ইজ্জতসহ সর্বস্ব হারিয়েছে একটি পরিবার। সূত্র মতে, ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পাড়ার সামসুল হকের সাথে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে তার বাড়িতে গত দু’মাস ধরে যাতায়াত শুরু করে আফজাল হোসেন। আফজাল নিজেকে জিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে তাদের ২০ লক্ষ টাকা পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখান। এই ২০ লক্ষ টাকা পেতে হলে তাদের বিভিন্ন স্থানের ৮৫টি মাজার শরীফে দান হিসেবে এক হাজার করে মোট ৮৫ হাজার টাকা দিতে হবে বলে পরিবারটিকে জানানো হয়। টাকার প্রলোভনে পরে সহজ সরল সামসুল হক সম্প্রতি বাড়ির গবাদিপশু বিক্রি করে ৮৫ হাজার টাকা ভ- আফজালের হাতে তুলে দেন। টাকা পাওয়ার পর আফজাল হোসেন পরিবারটির সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। পরে সামসুল হক দীর্ঘদিনেও জিনের টাকা না পাওয়ায় মোবাইলে ভ- আফজালের সাথে যোগাযোগ করলে আফজাল আরো ৩০ হাজার টাকা নিয়ে তাদের পরিবারের সবাইকে তার পুলিশ লাইন্সস্থ বাড়িতে আসতে বলেন। আফজালের কথা মতো সামসুল হক তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে গত ৪ নভেম্বর নীলফামারীতে আসেন। গত ৪ নভেম্বর গভীর রাতে ভ- আফজাল তার ঘরে জিনকে নিয়ে আসার কথা বলে সামসুল হকের বড় মেয়ে এক সন্তানের জননী নেহার ও ৫ নভেম্বর ছোট মেয়ে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী মনিকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর মেয়ে দুটিকে বোঝানো হয় তোমাদের সাথে যা হয়েছে তা জিনে করেছে। এ কথা প্রকাশ করলে তোমাদের মারাত্মক ক্ষতি হবে। ঘটনার পর ছোট মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায়। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে পড়লে গা ঢাকা দেয় ভ- জিনের বাদশা আফজাল হোসেন। এদিকে চক্ষু লজ্জার ভয়ে আত্মগোপনে রয়েছে পরিবারটিও। ওই এলাকার ইউপি সদস্য রশিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আফজাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে এলাকার সহজ-সরল মানুষের চরম ক্ষতি করে আসছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন