সখিপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা
টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ১১ হাজার ৪৮ জন হতদরিদ্রকে ১৮ জন ডিলারের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি চাল বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি ইউনিয়নে ১ হাজার ৩৮১ জন হিসাবে ৮ ইউনিয়নে ১১ হাজার ৪৮ জন হতদরিদ্র কার্ডধারী খাদ্যবান্ধব ১০ টাকা কেজি হিসাবে নভেম্বর মাসে ৩০ কেজি চাল পাবে বলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা যায়। পরিমাপে কম, ইউপি সদস্য কর্তৃক ধনাঢ্য ব্যক্তিদের নামে কার্ড প্রদান, কালোবাজারে বিক্রি, কার্ড থাকে ডিলারের নিকট, একজনের নামে ডিলার আরেকজন চাল বিক্রি করছে। কার্ড ডিলারের নিকট থাকায় অনেক কার্ডধারী জানেনই না কোথা থেকে ১০ টাকা কেজি চাল দিচ্ছে। ডিলার পয়েন্টে কোনো ব্যানার নেই, যেখান থেকে ১০ টাকা কেজি হিসাবে চাল উত্তোলন করছে সেখানেই চালের বেপারীর নিকট বিক্রি করছে এরকম নানা অভিযোগের অন্ত নেই। সপ্তাহের শুক্র, শনি ও মঙ্গলবার ডিলাররা চাল বিক্রি করে থাকে। কালিয়া ইউনিয়নের ডিলার কেবিএম রুহুল আমিন ১০ টাকা কেজি চাল উত্তোলন করার পর সব চাল বিক্রি করে দিয়েছে বলে কালিয়া ইউনিয়নের কয়েকজন ইউপি সদস্য অভিযোগ করেন। এলাকার লোকজনও ১০ টাকা কেজি চালের খবর জানে না। কাকড়াজান ইউনিয়নের ডিলার আ. গফুর মিয়া দুটি ডিও’র চাল কালোবাজারে বিক্রি করে দিয়েছে বলে এলাকার লোকজন অভিযোগ করে। আ. গফুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আরিফ সরকারের পিতা এবং কেবিএম রুহুল আমিন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সখিপুর আদর্শ শিশু কানন প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ। সঙ্গত কারণে হামলা-মামলার ভয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করতে সাহস পায় না। গত শুক্রবার উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের দেওদিঘী বাজারে ডিলার পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, ডিলার পয়েন্টে ব্যানার সাঁটানো নেই, চাল ৩০ কেজির স্থলে ২২/২৪ কেজি করে দিচ্ছে এবং ডিলার সোহরাবের স্থলে তার ভাই আ.লীগ নেতা আসাদুজ্জামান আক্কাস চাল দিচ্ছে। এ ব্যাপারে ডিলার পয়েন্টে চাল বিতরণকারী আক্কাস বলেন, আমরা সকলকে ম্যানেজ করেই অনিয়ম-দুর্নীতি করছি, অভিযোগ করলে প্রশাসনের কেউ আসবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন