আমিনুল হক, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে
কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল-সন্ধ্যায় এখন শিশির ভেজা তেপান্তরজুড়ে হিমেল সুবাস। কৃষিপ্রধান শস্যশ্যামল সবুজ তেপান্তরের জনপদ মীরসরাই উপজেলার কৃষি ও সবজি উৎপাদনে সেরা স্থান অটুট সবসময়ই। কিন্তু গত কয়েকদিনের নি¤œচাপে লাগাতার বৃষ্টিতে উদগ্রীব এখন কৃষকরা। ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা-উৎকণ্ঠায় সকলেই। তিনদিনের বৃষ্টিতে সবজি মাঠ তো বিলীন। আমন নিয়ে উৎকণ্ঠার শেষ নেই এখন। হেমন্তের মৃদু শীতের আগমনীর শুরুতেই আমন ধানের গাছে গাছে এখন শিশির ভেজা বাতাসে সুবাস ছড়াচ্ছে চারদিকে। মাঠের চারদিকে সবুজের সমারোহ। গত বছরের চেয়ে এ বছর ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে মাঠজুড়ে। সম্প্রতি দিগন্তজুড়ে নজর কাড়ছে আমন ফসলের ক্ষেত। উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও ২ পৌরসভার সব কটি গ্রামেই এখন কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সকালের আবির্ভাব ঘটছে। আমন ধানের শীষের ডগায় সকাল বিকাল শিশির বিন্দু যে কারোই মন কেড়ে নেবার উপক্রম। মীরসরাই উপজেলার আমবাড়ীয়া গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গির ভূঞা জানান, এবার আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গত শুক্রবার ও শনিবার (৫ নভেম্বর) নি¤œচাপের দরুণ দিনভর বৃষ্টিতে আমনের কিছুটা ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এর চেয়ে বেশি ভারি বর্ষণ না হলে ক্ষতি ব্যাপক হয়ে উঠবে। বৃষ্টিপাতের ধরন হালকাতে থাকলে আশঙ্কা কেটে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার কৃষক আমিনুল ও রবিউল হোসেন জানান ইতোমধ্যে শীতকালীন সবজির অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেছে। কৃষকদের এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে অনেক কষ্ট পোহাতে হবে। মীরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ মৌসুমী সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করে বলেন, এমনিতেই এবার অনিয়মিত বৃষ্টিপাতের জন্য কৃষকরা আগে থেকেই কিছুটা শংকিত ছিল। এখন কয়েকদিনের লাগাতার হালকা বৃষ্টিতে অনেকের সবজির চারা একেবারেই বিনষ্ট হয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। আবার আমনের চূড়ান্ত ক্ষতি এখনো না হলে ও ভারি বৃষ্টি হলে ক্ষতির সম্ভাবনা ব্যাপক। তিনি বৃষ্টি কমলেই কৃষকদের পাশে মাঠে নামবেন বলে জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন