চরম নাটকের পর শেষ পর্যন্ত আস্থা ভোটে হেরে গদিচ্যুত হলেন ইমরান খান। মধ্যরাতে শুরু হওয়া আস্থা ভোটে ইমরানের দলের বিরুদ্ধে ১৭৪টি ভোট পড়ে পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে।
পিটিআই-এর সব সদস্যরা অ্যাসেম্বলি থেকে ওয়াক-আউট করেন ভোটাভুটির আগেই। স্পিকার আসাদ কাইসার পদত্যাগ করেন। তবে পদত্যাগ করেননি ইমরান খান। শেষ পর্যন্ত আস্থা ভোটে হেরে গদিচ্যুত হন ‘কাপ্তান।’ এখন পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন শেহবাজ শরিফ।
ইমরান নিয়াজি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটদান করতে অস্বীকার করেছিলেন স্পিকার আসাদ কাইসার। ইমরান খানের প্রতি এই আনুগত্য দেখাতে গিয়ে স্পিকার আসাদ কাইসার পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অবমাননা করেছেন। শেষ পর্যন্ত পাক অ্যাসেম্বলিতে আস্থা ভোট হলেও তা হয় স্পিকারের পদত্যাগের পর। এই আবহে আদালত অবমাননার নোটিশ ধরানো হতে পারে প্রাক্তন স্পিকার কাইসারকে।
গতরাতে পাক সংসদে দাঁড়িয়ে শেহবাদ শরিফ বলেন, ‘আমরা নিরপরাধ মানুষকে জেলে পাঠাব না। আমরা প্রতিশোধ নেব না। কিন্তু আইন আইনের পথে হাঁটবে এবং ন্যায়বিচার হবে। পাকিস্তানে নতুন ভোর আসতে চলেছে।’ শেহবাজ বলেন, ‘কোটি কোটি পাকিস্তানিদের প্রার্থনা সর্বশক্তিমান শুনেছেন। ঐক্যবদ্ধ বিরোধী দলের সকল সদস্য আল্লাহকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে।’
নতুন প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনের ঘোষণা করতে পারেন বা চলতি অ্যাসেম্বলির মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত সরকার চালিয়ে যেতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত মেয়াদ আছে বর্তমান অ্যাসেম্বলির। তারপর ৬০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে।
পাক সংবিধানের অধীনে, একজনকে প্রধানমন্ত্রী হতে হলে পাক অ্যাসেম্বলির নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতার দ্বারা নির্বাচিত হতে হবে। মানে, ৩৪২ সদস্য বিশিষ্ট অ্যাসেম্বলিতে ন্যূনতম ১৭২টি ভোট পেতে হবে।
গতরাতেই ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর জন্য বরাদ্দ সরকারি বাসভবন ত্যাগ করেন। শেষ মুহূর্তে আস্থা ভোট হলেও সুপ্রিম কোর্ট তার বিরুদ্ধে অবমাননার কোনও মামলা চালায় কি না, সেদিকে সবার নজর। এই পরিস্থিতিতে ইমরান খানের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকেও সবার নজর। দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বেশির ভাগ সময় ইমরানের সঙ্গী ছিল সংগ্রাম। সূত্র: জিও টিভি, হিন্দুস্থান টাইমস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন