নীলফামারীর সৈয়দপুরে রমজানে প্রায় সব বাজারে প্রতি কেজি গরুর গোশতের দাম রাখা হচ্ছে ৬০০-৬৩০ টাকা। চলতি মাসের শুরুতেও ৫০০-৫২০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছিল। রমজানে প্রতি কেজি খাসির মাংস ৬৫০-৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা ১৫ দিন আগেও ৫৮০-৬২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
কয়েকদিনের ব্যবধানে গরু ও খাসির গোশতের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ার জন্য যোগানের সংকটের কথা বলছেন মাংস ব্যবসায়ীরা। আর ক্রেতাদের দাবি, বাজার মনিটরিং না থাকায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
সৈয়দপুর মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. নাদিম ছটু জানান, প্রতি বছরে শীতকালে বিয়ে, ওরশ ও অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনের হিড়িক পড়ে। ফলে গরু, ছাগলের চাহিদা বেড়েছে। তাই গোশতের দামও বাড়তি। বাজারে গরুর সরবরাহ কম তা বলা যাবে না। তবে একশ্রেণির অসাধু বিক্রেতা অজুহাত দেখিয়ে দাম বৃদ্ধি করে বিক্রি করছে।
পৌর বাজারে আসা ক্রেতা আতিক আলম বলেন, বাজারে মূল্য তালিকা চোখে পড়েনি। বাজার মনিটরিং করতেও দেখা যায় না কাউকে। ফলে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এই বাড়তি দাম নিচ্ছেন মাংস ব্যবসায়ীরা। সব মিলে গোশতের বাজার দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় এখন সীমিত আয়ের পরিবারে গরুর বা খাসির মাংস কেনার সাধ্য নেই।
ঢেলাপীড়হাটের গরু ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন জানান, গরু কিংবা খাসির কোনো সংকট নেই। দেশিয় গরুর সরবারহ ভালো। ফলে গত ৩ মাসে চাহিদা বাড়লেও বাজারে কোনো সংকট নেই। তাছাড়া গরু-খাসির কোন দামও বাড়েনি। গোশতের দাম বাড়ার জন্য ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে দায়ী করেন তিনি।
জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন বলেন, শিগগিরই অভিযান চালিয়ে গোশতের দাম নিয়ন্ত্রনে আনা হবে। অসাধু মাংস ব্যবসায়ীকে আমরা শাস্তির আওতায় আনবো। এছাড়া বাজারে যে সব পণ্যের দাম বেড়েছে, সে সব পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করছি। অভিযানের ফলে অনেক পণ্যের দাম কমে এসেছে।
সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান জানান, গরুও খাসির গোশতের দাম নির্ধারণ প্রক্রিয়াধীন আছে। শুধু মাংস নয় সব পণ্যের দাম নির্ধারণ করে নতুন করে তালিকা লাগানো হবে। প্রতিদিন করা হবে বাজার মনিটরিং।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন