কুমিল্লার বুড়িচং সদরের আরাগ রাস্তার মাথা ৯০ দশক থেকে প্রায় ১০০ শত বছর পূর্বে এটি নৌকার ঘাট ছিল। দেশের দূরদূরান্ত থেকে এসে মাঝিরা নৌকা নোঙ্গর করে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সম্পাদন করতো। কিন্তু কালক্রমে বিস্তৃত নৌকাঘাট দূরের কথা, বাজারের ময়লা ফেলে এক সময়ের বয়ে চলা খাল অস্তিত্ত্ব সঙ্কটে ভুগছে।
ইদানিং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক কুমিল্লা-চাঁদপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্প, বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে পয়াতের জলাখাল পুনঃখনন কার্যক্রম এগিয়ে এলেও উক্ত বাজারের অংশসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থান খনন না করেই বিভিন্ন স্থানে খালের সম্মুখভাগে খাল খনন কার্যক্রমের সাইনবোর্ড শোভা পাচ্ছে। বুড়িচং সদরের বাসিন্দা ৯নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি জসিম উদ্দীন জানান, বুড়িচং বাজারের পশ্চিম দিকের এ তিথিখালটি বুড়িচং বাজারের পশ্চিম দিক দিয়ে আগানগর এলাকা দিয়ে পয়াতের কোসাইল্লা গিয়ে শেষ হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তিথিখাল ও কোসাইল্লা খাল এবং ভারত সংলগ্ন বাকশীমূল ইউনিয়নের ফকির বাজার এলাকা দিয়ে পাগলী নদী নামে ও একটি নদী এসে পয়াতের জলায় যুক্ত হয়ে স্থানীয় ঘুংঘুর নদী ও পরবর্তীতে সালদা নদীতে গিয়ে মিশেছে।
এক সময়ে এসব নদী পথে যাতায়াতের ঐতিহ্য বহন করে চলা এসব খাল ও নদী পথে এখন আর যাতায়াত হচ্ছে না। অনেক নৌকাঘাট হিসেবে ব্যবহৃত জায়গাগুলোতে বর্তমান যুগের সিএনজি, অটোরিকশা ও ইজিবাইক দখল করে নিয়েছে। কোন রকমে অস্তিত্ত্ব নিয়ে বয়ে চলা ছোট খাট খাল বেশিরভাগই ভরাট হয়ে গিয়েছে। আবার এ সব খালের অনেকগুলোতে বাসা বাড়ি ও বাজারের ময়লা আবর্জনা ফেলে ভরাট করে ফেলেছে। এ রকমই এক ময়লা আবর্জনায় ভরপুর স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে বুড়িচং উপজেলা সদর বাজারের পশ্চিম পাশের আরাগ রাস্তার মোড়ের উক্ত অংশটি।
এছাড়া, বিএডিসি কর্তৃক পয়াতের জলা খননের অংশ হিসেবে উক্ত তিথিখাল ও কোসাইল্লাখাল যথাযথ নিয়মে খনন হয়নি। বুড়িচং বাজারের পশ্চিমাংশে মোটেই খনন কাজ হয়নি। ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে সাধারণ পথচারী ও জনগণের ব্যাপক অসুবিধা হলেও এ যেন দেখার কেউ নেই। সম্প্রতি বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুন ও উপজেলা প্রকৌশলী আলিফ আহম্মেদ অক্ষর ময়লা ফেলার স্থান আরাগ রাস্তার মাথা ঘুরে দেখেন।
তিনি এসময় বুড়িচং পশ্চিম বাজারের খালের বিভিন্ন দিক এবং আরাগ যাওয়ার রাস্তা ও পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি ফজলুর রহমান মেমোরিয়্যাল কলেজ অব টেকনোলজির পশ্চিম দিক দিয়ে কলেজ গেটে যাওয়ার বাইপাস সড়কের উন্নয়নের ব্যাপারে কথা বলেন। অচিরেই বুড়িচং বাজারের স্থায়ী একটি ময়লা ফেলার স্থান নির্ধারণ করা যায় কি না সে ব্যাপারে ও কথা বলেন।
বুড়িচং উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসা. পান্না আক্তার মাহবুব জানান, তিথিখালের আরাগ অংশে রাতের আধারে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী খালে ময়লা আবর্জনা ফেলে ভরাট করে ফেলছে। তিনি
ময়লা ফেলার একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণের আহবান জানানোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন