পাথরঘাটার কাকচিড়া ইউনিয়নের বাইনচটকি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারি শিক্ষিকা রুনা আক্তার গত রোববার পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালের ১ জুলাই বাইনচটকি মাধ্যমিক বিদ্যালয় তিনি অফিস সহকারি পদে যোগদান করে ২০০২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। এরপর গত ২০০২ সালের ১ এপ্রিল থেকে সহকারী শিক্ষক সমাজবিজ্ঞান পদে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন সাবেক স্কুল কমিটির সভাপতি শামসুল আলমের স্বাক্ষর ও সাবেক প্রধান শিক্ষক আওয়াল কবির স্বাক্ষর জাল করে দু’জন শিক্ষক অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, সাবেক সভাপতি ও জমিদাতা সদস্য মো. শামসুল আলম আমার স্বামী বিধায় প্রধান শিক্ষক এক দিনে তিনটি চিঠি দিয়েছেন। যার ভেতর দু’টি কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং একটি সাময়িক বরখাস্তের চিঠি। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ৩১ জুলাই একটি চূড়ান্ত চিঠি দিয়েছে এবং বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে প্রেরণ করেছেন। যা এখন পর্যন্ত বোর্ড কর্তৃক কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। অথচ আমি নয় মাস পর্যন্ত কোনো বেতন পাচ্ছি না। প্রধান শিক্ষক আমার নামে থানায় মিথ্যে জিডি করেছেন। মিথ্যে গ্রেফতারি ওয়ারেন্ট বের করেন গত ২৩/১০/২০২১ তারিখে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে। যে কারণে আজ আমি সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হয়েছি। সংবাদ সম্মেলনে রুনা আক্তার লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, গত ১৫/১১/২০২১ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কর্মরত সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদের তদন্তে প্রধান শিক্ষকের জাল-জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে এবং অবৈধ ২ শিক্ষক তাদের নিয়োগের কথা স্বীকার করেছেন। প্রধান শিক্ষক ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর এবং জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানের নামে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেছেন। প্রধান শিক্ষকের হাত থেকে বিদ্যালয়টিকে মুক্ত করার জন্য এবং আমার বেতন ভাতা চালু করার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি। এ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন শিক্ষিকা রুনা আক্তারের সংবাদ সম্মেলনের সকল বিষয় অস্বীকার করেন এবং ভিত্তিহীন বলে ওড়িয়ে দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন