হোসেনপুর-নান্দাইল-পাকুন্দিয়া-ঢাকা মহাসড়কে দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তার কার্পেটিং ওঠে গিয়ে হাজারো খানাখন্দে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে বৃষ্টিতে কাদা ও শুকনা মৌসুমে ধুলায় সড়কে চলাচল অসহনীয় দুর্ভোগ হয়ে পড়েছে।
উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের থেকে রাস্তাটি সংস্কার হয়নি। ফলে ১৪ কিলোমিটার রাস্তা যেখানে ২০মিনিটে পাড়ি দেয়ার কথা সেখােেন ২ ঘণ্টা সময় নেয়। ২০১৮ সালে বন্যা ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনবার্সন প্রকল্পের আওতায় এ রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ঢাকার সেনা কল্যান ভবনে অবস্থিত মের্সাস ডলি কন্সট্রাকশনের সাথে ৯ কোটি ১২ লাখ ৫৪ হাজার টাকায় চুক্তিবদ্ধ হলেও ২ দফা মেয়াদ বাড়ানো হলেও কাজ না করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান উদার তাদের সাথে চুক্তি বাতিল করে জেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর আবার দরপত্র আহ্বান করে। কিন্তুু দীর্ঘ সময় পার হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এতে জনদুর্ভোগ এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ জনগুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী ঢাকাসহ নান্দাইল-হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া উপজেলায় একমাত্র যাতায়াতের রাস্তা হওয়া সত্বেও এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোন ভাবনা নেই। ঢাকার মহাখালী থেকে কাপাসিয়া টোক হয়ে পাকুন্দিয়া হোসেনপুর হয়ে নান্দাইল চলাচলের সহজ রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে খানাখন্দর কারণে অনেক আগেই একটি পরিবহন সংস্থা তাদের বাস বন্ধ করে দিয়েছে। যে রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক বাস চলাচল করতো সেখানে এখন নামমাত্র কয়েকটি বাস চালক ও যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, হোসেনপুর পৌর দ্বিপেশ^র থেকে কাওনাবাজার পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার ও হোসেনপুর মাধখলাবাজার থেকে বাসকান্দ বাজার পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তা খনাখন্দে ভরপুর। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তার ধুলায় আশপাশের স্কুল বাড়ি ফসল লাল হয়ে গেছে। এদিকে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা চরম বিপাকে পড়েছে, ভাঙা রাস্তায় পরিবহন ঠিক সময়ে না পাওয়ায় স্কুল কলেজে সময়মত যেতে পারছে না।
কিশোরগঞ্জ জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে জানান, শিগগিরই সংস্কার কাজ শুরু হবে। কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নুর লিপি জানান, তিনি দ্রুত এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্তা নিবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন