জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পরিসংখ্যান বিভাগের একজন শিক্ষককে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রকাশ্যে শারীরিক লাঞ্চিত করায় প্রতিবাদ করেছে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে শতাধিক শিক্ষার্থী মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে ছাত্ররা দাবি করেন, 'ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত ছিলো। দুষ্কৃতকারীরা আমাদের শিক্ষকের কাছ হতে মোটা অংকের অর্থও দাবি করে। স্যারের, বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যাচাই করা হোক। পাশাপাশি যারা একজন শিক্ষকের গায়ে হাত তুলেছে তাদের অবিলম্বে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।'
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগে সহকারী অধ্যাপকের পাশাপাশি ভুক্তভোগী শিক্ষক নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
শিক্ষার্থীরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত না হলে বৃহত্তর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেয়।
৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ পিয়াস বলেন, 'তাকে যেভাবে অপমান করা হয়েছে তা শুধু একজন শিক্ষককে অপমান নয়, পুরো জাতির শিক্ষকদের অপমান করা হয়েছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখলেই বুঝা যাবে এটা পূর্ব পরিকল্পিত। তারা স্যারের কাছে থেকে টাকাও দাবি করেছে এবং কার্ড (এটিএম) নিয়েছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ট তদন্ত ও বিচার দাবি করছি। অন্যথায় আমরা বৃহত্তর কর্মসূচিতে যাব।'
৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী সুমায়াইয়া শারমিন সূচনা বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির একটি অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনাটি সত্য হলে তা নিশ্চয়ই অনেক দিন ধরে আসেছে। ওই শিক্ষার্থী অনেক সময় পেয়েছিল তার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানোর। নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে তার বিচার হতে পারে। কিন্তু এভাবে দিনে দুপুরে একজন শিক্ষার্থী, শিক্ষকের গায়ে হাত তুলতে পারে না। আমরা এর সুষ্ঠ বিচার চাই।'
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী সোহেল বলেন, 'কোন কিছু যাচাই-বাচাই না করে একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হলো, তাকে যেভাবে শারীরিক হেনস্তা করা হলো এটা খুবই চিন্তার বিষয়। স্যার যদি কোন ভূল করে থাকেন বা তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে তিনি শাস্তি পাবেন। আমাদের দাবি স্যারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে তার সুষ্ঠু তদন্ত হোক। অন্যদিকে যারা এরকম একটি অভিযোগের ভিত্তিতে বিরাট একটি অপকর্ম চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।'
এদিকে মারধরের শিকার শিক্ষক দাবি করেন, তিনি এরকম কোন কাজ করেননি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টির কয়েকজন শিক্ষার্থী রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টের সামনে তার গায়ে হাত তোলেন এবং মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন