ভাঙ্গায় অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে কিশোর-টিনেজ বয়সীদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালনা। তারা প্রায়ই অতিরিক্ত গতিতে মোটরসাইকেল চালনায় ঘটছে বিভিন্ন দুর্ঘটনা। ভাঙ্গা কোর্টপাড় প্রধান সড়কে ও লন্ডন ব্রিজের ওপর এদের প্রায়ই দেখা যায় একে অপরের সাথে বিকট শব্দে রেস করতে।
তখন পথচারিরা ভয়ে আতঙ্কে দিশে হারা হয়ে পরেন। এর প্রতিবাদ করলে সংঘাত অনিবার্য হয়ে ওঠে। এ ছাড়াও অনিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাওয়ায় সর্বত্র সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। গতকাল ভাঙ্গা বাজার পূবালী ব্যাংকের সামনে দেখা যায় প্রধান সড়কের ওপরেই ৪/৫টি মোটরসাইকেল রেখে চালকরা অনত্র চলে গেছেন। আরও কয়েকটি সচল মোটরসাইকেল ও রিকশাভ্যান মিলে তৈরি হয়েছে বিকট যানজট। অনেকটা সময় পার হয়ে গেলো এই স্থবির অবস্থায়। গোটা শহর জুড়েই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বৈধ-অবৈধ টু হুইলার। এর বেশির ভাগই হাইস্পিটে চালাচ্ছে কিশোর-তরুণ চালকরা। কোনটির আবার রেজিস্ট্রেশন প্লেটও নেই। কোনটিতে লেখা লেখা মেছুয়া ডাঙ্গা সমবায় সমিতি লিঃ, কোনটায় বা কোন রাজনৈতিক দলের নাম, কোনটিতে সাংবাদিক।
অতি সম্প্রতি ভাঙ্গা গার্লস স্কুলের এক শিক্ষিকার গায়ের ওপরে মোটরসাইকেল তুলে দেয় এক কিশোর চালক। এতে তিনি আহত হন। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় চালক। এটিরও কোন নাম্বার প্লেট ছিলো না। এরকম দুর্ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে।
এমন বেপরোয়া গতি, কিশোর চালক, আর রেজিস্ট্রেশন বিহীন মোটরসাইকেলের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে ভাঙ্গা ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত টিআই আনোয়ার হোসেন জানান, আমরা সব সময়ই এসব রেজিস্ট্রেশন বিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছি। এর প্রমান থানার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে এলেই দেখতে পাবেন কি পরিমান আটককৃত মোটরবাইক পড়ে আছে। এছাড়া আমরা জরিমানাও করছি। আমরা সাধারনত হাইওয়েতে নিয়োজিত থাকি, যানবাহনের স্বাভাবিক চলাচলের পথ সুগম করি এবং অবৈধ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করি। এসব অবৈধ চালকরা, তারা সাধারনত আমাদের চেক পয়েন্টগুলি এড়িয়ে চলে। শহরের মধ্যে আমাদের কোন চেকপয়েন্ট বা ট্রাফিক পুলিশ নেই। এই সুযোগেই তারা শহর ও বাজারের মধ্যে বেশি তৎপর। অপর টিআই মাসুদ বলেন, আমাদের লোকবলও অত্যান্ত কম হওয়ায় আমরা সর্বদা সব জায়গায় নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। তবে আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট লোকবল বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন