সুনামগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছের নিচে চাপা পড়ে এবং বজ্রপাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। জেলার জগন্নাথপুর উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে গাছচাপায় একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া শাল্লা উপজেলায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছেন বাবা ও ছেলে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শিশুসহ আরো দু’জন। গত বৃহস্পতিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় ঝড়ে বয়ে যাওয়ায় শতাধিক ঘরবাড়ি গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে ।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ভোররাতে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছের নিচে চাপা পড়ে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছেন। তারা হলেন উপজেলার পাটলি ইউনিয়নের সোলেমানপুর গ্রামের মোহাম্মদ হোসেন, তার স্ত্রী মাহিমা আক্তার ও তাদের মেয়ে মৌসুমি বেগম। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
জগন্নাথপুর থানার ওসি শশাঙ্ক পাল কালবৈশাখী ঝড়ে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি জানান।
এদিকে সকাল ৭টার দিকে সুনামগঞ্জের শাল্লায় বজ্রপাতে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন উপজেলার শাল্লা ইউনিয়নের নাছিরপুর গ্রামের মুকুল খাঁন ও তার ছেলে মাসুদ খাঁন।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, ভোরবেলা নাছিরপুর গ্রামের মুকুল খাঁন, তার দুই ছেলে ও শ্যালকপুত্রকে নিয়ে বাড়ির পাশে হাওরে কৃষি কাজ করতে যান। সকাল ৭টায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে বজ্রপাতের কবলে পরে মুকুল খাঁন ও ছেলে মাসুদ খাঁনন ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। এসময় মুকুল খাঁনের আরেক ছেলে রিমন খাঁন ও শ্যালকপুত্র তানভীর হোসেন আহত হন। তাদের চিকিৎসার জন্য হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে শাল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার জানান, সকালে বাড়ির পাশের হাওরের জমিতে কাজ করার সময় হঠাৎ বজ্রপাতের কবলে পরে এ হতাহতের ঘটনাটি ঘটে।
শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম নাছিরপুরে বজ্রপাতে বাবা-ছেলে মৃত্যুর বিষয়ে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন