কলারোয়ায় কাজ না করে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)-এর লাখ লাখ টাকা লোপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে প্রকল্প কমিটি ও টেন্ডারে ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজগুলো বাস্তবায়িত দেখানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে কলারোয়ার জয়নগরে বদরুনেছা বালিকা বিদ্যালয়ে সংসদ সদস্যের বরাদ্ধ একলাখ টাকায় টিনের চাল মেরামতসহ সংস্কার কাজ করা হয়। আর একই সময়ে প্রকল্প কমিটির মাধ্যমে বদরুনেছা বালিকা বিদ্যালয় সংস্কারে এডিপি বরাদ্ধের ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার কোন কাজ না করে আত্মসাত করা হয়েছে। বদরুনেছা গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এডিপি’র বরাদ্ধের বিষয়টি জ্ঞাত নয় বলে জানান। এদিকে নূন্যতম কাজ না করে একই অর্থ বছরে প্রকল্প কমিটির মাধ্যমে সোনাবাড়িয়া ফুটবল মাঠ ও গোল পোস্টের সংস্কারে এডিপি বরাদ্ধের ৭০ হাজার টাকা বেমালুম লোপাট করা হয়েছে। নব নির্বাচিত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বেনোজির হোসেনের উপস্থিতিতে সোনাবাড়িয়া সরকারি প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেন জানায়, ৫/৭ বছরের মধ্যে এই ফুটবল মাঠে বা গোল পোস্টের কোন কাজ হয়নি। এদিকে একই অর্থ বছরে প্রকল্প কমিটির মাধ্যমে চন্দনপুর প্রি-ক্যাডেট স্কুলে দুই লাখ টাকা ব্যয়ে ৩টি মোটরভ্যান ক্রয় দেখানো হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রি-ক্যাডেটের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম জানায়, ৪ বছর আগে প্রি-ক্যাডেট স্থাপন কালে চারটি ভ্যান ক্রয় করা হয়েছিল। এরপরে কেউ কোন মটর ভ্যান প্রদান করেনি। এদিকে কপোতাক্ষ ফুটবল একাডেমি সংস্কারে প্রকল্প কমিটির মাধ্যমে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। কিন্তু কপোতাক্ষ ফুটবল একাডেমির কোন নিজস্ব ভবন নেই। স্থানীয় হাইস্কুল মার্কেটের একটি ঘরে কপোতাক্ষ ফুটবল একাডেমির সাইনবোর্ড ঝুলানো হয়েছে। সেই ঘরে ২০২০-২০২১ অর্থ বছর কোন সংস্কার হয়নি বলে সংশ্লিষ্টরা জানায়। কাগজে কলমে প্রকল্প কমিটির মাধ্যমে একাডেমি সংস্কার দেখানো হলেও দেয়াড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর বলেন, ফুটবল একাডেমির কাজ ঠিকাদারের মাধ্যমে করা হয়েছে। এডিপি প্রকল্পে টেণ্ডারে ঠিকাদারের মাধ্যমে খোর্দ্দ হাইস্কুলের ড্রেন নির্মাণে একলাখ টাকা বরাদ্ধ করা হয়। কিন্ত আনুঃ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে একফুট প্রশস্ত আনুঃ ৭০ ফিট ড্রেন নির্মাণ করে বাকি টাকা আত্মসাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ড্রেনের প্লাস্টার অসম্পুর্ণ রয়েছে। এব্যাপারে খোর্দ্দ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম বলেন, কে কত টাকার কাজ করেছে, কোন প্রকল্পের কাজ তিনি কিছুই জানেন না। আর প্রবেশ দ্বারে ঢাকনা বিহীন এই ড্রেনে পড়ে শিক্ষার্থীদের পা ভাঙ্গার সম্ভবনা রয়েছে বলে প্রধান শিক্ষক জানান। এভাবে অধিকাংশ এডিপি প্রকল্পের কাজে ঘাপলা করে লাখ লাখ টাকা লোপাট করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে উপজেলা প্রকৌশলী নাজিমুল হকের সংগে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এভাবে বলা সম্ভব নয়, অফিসে আসলে সব সমাধান হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন