মিয়ানমারের জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির কারাবন্দি নেত্রী অং সান সুচি। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশের জনগণের উদ্দেশে কোনো বার্তা দিলেন তিনি। তার বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে সোমবার এ তথ্য দিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
তিনি জানান, অং সান সুচি দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রত্যেকেরই দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা আছে এবং এই ভিন্নতাকে সম্মান করা ও ধৈর্য্যের সঙ্গে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করা উচিত।
ঠিক কী কারণে সুচি ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। তবে জান্তার সঙ্গে আপস বা সংলাপের কোনো ইঙ্গিত দেননি এই নোবেলজয়ী নেত্রী। নিরাপত্তাজনিত কারণে ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেনি রয়টার্স। এ নিয়ে দেশটির সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা তাতে সাড়া দেয়নি।
আগামি সপ্তাহেই সুচির বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে বিচারের রায় দেয়ার কথা। মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, বিদেশি কোম্পানিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ঘুষ হিসেবে স্বর্ণ ও নগদ অর্থ নিয়েছিলেন সুচি। সুচি অবশ্য বরাবরই দাবি করে আসছেন, তিনি নির্দোষ।
গ্রেপ্তারের পর সুচির বিরুদ্ধে দুর্নীতির কয়েকটি মামলা করে জান্তা সরকার। রাজধানী নেইপিদোতে সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত একটি আদালতে সেসব মামলার বিচার চলছে। সব মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে দেড়শ বছরের বেশি সময় কারাগারে কাটাতে হবে সুচিকে। এর আগে গত বছরের ১লা ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে অভ্যুত্থান করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ওইদিন রাতেই গ্রেপ্তার হন ৭৬ বছর বয়সী সুচি। বর্তমানে তিনি কোথায় আটক আছেন তা কেউ জানে না।
২০২০ সালের জাতীয় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীয়। দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন।
১ ফেব্রুয়ারি রাতেই জান্তা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন ৭৬ বছর বয়সী সু চি, বন্দি করা হয় তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে। সূত্র : রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন