সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির বিরুদ্ধে বিচারের রায় ঘোষণা স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণার দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু বিবাদীপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে রায় ঘোষণা স্থগিত করে আদালত।
জানা গেছে, মঙ্গলবার যদি রায় ঘোষণা হতো তাহলে তা হতো ৭৬ বছর বয়সী শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অং সান সুচি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর প্রথম রায়। তবে এদিন বিবাদীপক্ষ আরো একজন চিকিৎসকের সাক্ষ্য নিতে চায়। এ জন্য তারা আর্জি জানালে সম্মতি দেয় আদালত।
নতুন নির্বাচনের পর গত ১ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা শুরুর কথা ছিল সুচি ও তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির। তার মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে রক্তপাতহীন এক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তাকে উৎখাত করে সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং। একই সঙ্গে সুচির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ গ্রেপ্তার করে বেশির ভাগ গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মীকে। তারপর একে একে বিপুল পরিমাণ অভিযোগ আনা হয় সুচির বিরুদ্ধে। এসব রায়ে যদি তিনি দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে বহু বছর তাকে জেল দেয়া হতে পারে।
সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কানি দেয়া এবং করোনা ভাইরাসের বিধিনিষেধ ভঙ্গের অভিযোগের রায় দেয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার। কিন্তু বিচারক আগামী ৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত তা মূলতবি ঘোষণা করেন। আইনি একজন কর্মকর্তা নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ড. জাওয়া মিন্ট মুয়াং নামের একজন নতুন সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে চেয়েছেন। তার সাক্ষ্য নেয়ার জন্য রায় মুলতবি করা হয়েছে। সূত্র: এপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন