আবদুল হালিম দুলাল, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) থেকে
মঠবাড়িয়া উপজেলার আন্ধার মানিক গ্রামের গৃহবধূ রুনু বেগমের স্বামী ও ৩ সন্তান নিয়ে অভাবের সংসার। বসত ঘরের ভিটি ছাড়া স্বামীর আর কোন জমিজমা নাই বললেই চলে। স্বামী মো. হাবিবুর রহমানের পৈতৃক সূত্রে পাওয়া কাঠ মিস্ত্রীর কাজের টাকা দিয়ে খেয়ে না খেয়ে সংসার চলত। ২০০৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রলয়ঙ্কারী ঝড় সিডর সম্বল বলতে ২টি ছাগল এবং কিছু হাঁস-মুরগী মারা গেলে রুনুর পরিবারে গাঁঢ় অন্ধকার নেমে আসে। এই দুঃসময়ে রুনুর পাশে দাঁড়ায় ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন মঠবাড়িয়া ইউনিট। রুনু বেগম ২০১২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ফাউন্ডেশনের আন্ধার মানিক গ্রামের ৩৭নং হযরত মরিয়াম (আঃ) কেন্দ্রের ৬নং দলের সদস্য(নং-৩০০৮) হয়ে বিনা লাভে ১৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে নতুন জীবন শুরু করেন। টাকা দিয়ে কাঠ কিনে স্বামীকে নিয়ে ফার্ণিচার তৈরি করে বিক্রি করে লাভের মুখ দেখেন। লাভের টাকা দিয়ে সংসার চালিয়ে ঋণের কিস্তিও পরিশোধ করতে থাকেন। ফাউন্ডেশনের লোকজন তাদের কাজে খুশি হয়ে ঋণের অংকও বাড়াতে থাকেন। সর্ব শেষ রুনু ২০১৫ সালে ফাউন্ডেশন থেকে ২৪ হাজার টাকা ঋণ নেয়। রুণু বেগমের সফলতার কাহিনী শুনতে তার বাড়িতে গেলে রুনু বেগমকে স্বামীর ফার্ণিচার তৈরির কাজে সহযোগিতা করতে দেখা যায়। রুনু জানান, এক সময় তারা ৩ বেলা ঠিকমত খেত পারত না। ফাউন্ডেশনের ঋণের টাকায় কাঠ কিনে ফার্ণিচার তৈরি করে বিক্রি করে ২ মেয়ের লেখাপড়া, সংসার খরচ এবং কিস্তি দিয়ে এখন পর্যন্ত তার লক্ষাধিক টাকা লাভ হয়েছে। রুনুর স্বামী হাবিবুর রহমান জানান, সিডরে সব হারাবার পর যখন পাশে কেউ দাঁড়াবার ছিল না তখন ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন বিনা লাভে ঋণ দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তিনি আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করে ফাউন্ডেশন যেন আরও খেদমত করতে পারে তার জন্য দোয়া করেন। ফাউন্ডেশনের মঠবাড়িয়া ইউনিটের ইনচার্জ মো. আলী আজীম জানান, রুনু বেগমের মত দরিদ্র অথচ উদ্যমী মানুষের পাশে ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন থাকবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন