কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নের মঞ্জিলের কান্দার আনোয়ার আলী মারাজকে ৭ সাত দিনের ভেতর বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে মোবাইলে হুমকি দেন, উক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান। তার নিজের বাড়ি দাবি করে বলেন, উক্ত সময়ের মধ্যে বাড়ি ছেড়ে না গেলে, বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করা হবে। পরে মো. আনোয়ার আলী মারাজ বাদী হয়ে গত ৪ এপ্রিল ২০২২ চেয়ারম্যানকে বিবাদী করে কটিয়াদী মডেল থানায় অভিযোগে করেন।
এ ব্যাপারে বাদী আনোয়ার আলী মারাজ ইনকিলাবকে জানান, ৫৭ শতাংশের বাড়ি ও পুকুর ক্রয় সূত্রে নিজে মালিক। এ ব্যাপারে বাড়ি এবং জায়গা নিয়ে মুর্শিদ ভূঞা গংদের সাথে মোকদ্দমা চলছে। তিনি আরও জানান, বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কিশোরগঞ্জ মোকদ্দমা নং-২৯/২০২১ ধারা ফৌজঃ কাঃ বিঃ ১৪৪/১৪৫ ধারায় ১২/০১/২০২২ তারিখে ১ম পক্ষের মুর্শিদ ভূঞা সময়ের আবেদন উপাদান না থাকায় সময় না মঞ্জুর করা হয় এবং মোকদ্দমা নথিজাত করা হয়। আনোয়ার আলী ভূঞা মারাজ বাদী হয়ে বিজ্ঞ কটিয়াদী সহকারী জজ আদালতে কিশোরগঞ্জ মোকদ্দমা নং-৭৪/২০২১ তারিখে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মোকদ্দমা করেন। বিবাদী মুর্শিদ ভূঞার ১২০৫৯ দাগে ভূমির কোন স্বত্ত্ব নাই। মুর্শিদ মিয়ার পিতা মৃত মুঞ্জিল ভূঞা এসএ ১২০৫৯ দাগের সকল ভূমি বিক্রয় করে মৃত্যুবরণ করেন। সুতারাং আমি জমি ও বাড়ির মালিক। আনোয়ার আলী মারাজ আরও জানান, গত সপ্তাহব্যাপী গাছের ব্যাপারী লাগাইয়া সব গাছ কাটিয়া নিয়া যাচ্ছে। আমি অসহায় হয়ে কটিয়াদী মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমি বর্তমানে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগতেছি। বিবাদীরা বাদীর বাড়ির চার কোনে লাল পতাকার খুঁটি দিয়েছে।
কটিয়াদী মডেল থানার অভিযোগের বিবাদী চান্দপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি ঐ বাড়ির মালিক নই। তবে আমাকে জনপ্রতিনিধি হিসাবে মানুষের সুবিধা অসুবিধা দেখতে হয়।
কটিয়াদী মডেল থানার ওসি শাহাদৎ হোসেন জানান, অভিযোগটি চান্দপুর ভাট্টা হাওর এলাকার। কাজেই তদন্ত পূর্ব ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভাট্টা পুলিশ ফাঁড়িতে পাঠিয়েছি।
এ প্রসঙ্গে ভাট্টা পুলিশ ফাঁড়ির আইসি আনিসুল বলেন, অভিযোগের আলোকে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন