কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসের পুড়ে গেছে কৃষকের প্রায় ১০ একর আবাদী জমি। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এমনটা হয়েছে বলে দাবি করছেন ইটভাটায় দায়িত্বরতরা। এদিকে সরেজমিন দেখে কৃষি অফিস বলছেন প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয় বরং ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসের তাপে পুড়ে গেছে আবাদী জমি। অপরদিকে প্রায় প্রতি বছরই এমন ঘটনা ঘটলেও দায়ভার নিতে চায় না ইটভাটার মালিকরা।
উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের বালাবাড়ি কিশামতবানু এলাকায় অবস্থিত ওয়ারেস ব্রিকস কোম্পানির ইটভাটার চুল্লি থেকে বের হওয়া গ্যাসের কারণে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি কৃষকদের। সরেজমিনে দেখা যায়, ইটভাটা থেকে যত দূর চোখ যায়, প্রায় সব জমির ধান অনেকটা সাদা রং ধারণ করেছে। হঠাৎ উঠতি ফসলের এ অবস্থায় কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ইটভাটার গ্যাসের কারণে ক্ষতি হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ইটভাটার ম্যানেজার জাহিদ হোসেন বলে এটা প্রাকৃতিক দুর্যোগের পুড়ে গেছে। আর যদি গ্যাসেও পুড়ে যায় তাহলে সেটা আমরা আর কৃষকরা বুঝবো। আপনারা এখানে কি করতে আসছেন বলে সাংবাদিকদের প্রতিউত্তর দেন। উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মাইদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে প্রায় ৭-১০একর আবাদী জমির ফসলের ক্ষতির আশংকা রয়েছে। ভুক্তভোগী কৃষক গোলাপ উদ্দিন, আব্দুস সালাম জানান, ১৬ শতাংশ ও ২৪ শতাংশ জমির আবাদ ইটভাটার কারণে পুড়ে গেছে। এছাড়া ওহিজল, রাজ্জাক, একরামুলসহ প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন কৃষক এই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। শেষ সম্বলটুকু দিয়ে আবাদ করা কৃষকেরা এভাবে তীরে এসে তরি ডোবায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। গ্যাসের কারণে ফসলের ক্ষতি হলে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ইটভাটা মালিক ওয়ারেস আলী।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষাণ দাস বলেন, বিষয়টি আমার দৃষ্টি গোচরে আসছে। সরেজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। অবৈধ ইটভাটার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন