একটি মানুষ গত ৫ বছর ধরে গাছের ডালে বাসা বানিয়ে বসবাস করে আসছেন। ঘটনাটি মাগুরার শালিখা উপজেলার শতখালী ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের। যশোর-মাগুরা মহাসড়কের পাশ্ববর্তী কয়েকটি গাছের ওপর পাখির বাসার মত ডালপালা ও কাঠখুটি দিয়ে বাসা বানিয়ে, গাছেই কাটছে মধ্যবয়সী মানসিক প্রতিবন্ধী লিয়াকত আলীর জীবন। লিয়াকত আলী শালিখা উপজেলার শতখালী ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের মিয়া পাটোয়ারির ছেলে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মানসিক প্রতিবন্ধী লিয়াকত আলী যশোর-মাগুরা মহাসড়কের পাশ্ববর্তী কয়েকটি গাছের উপরে পৃথকভাবে ডালপালা ও কাঠ দিয়ে নিজের থাকার জন্য তৈরি করেছেন তিনটি বাসা। গাছের ডালপালা বিক্রি করে ও মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নারকেল ডাব ও তুলা পেড়ে দিয়ে যা কিছু টাকা পায় তাই দিয়েই নিজের খাবারের ব্যাবস্থা করেন তিনি। স্থানীয়রা জানান, লিয়াকত আলী যখন সুস্থা ছিলেন, তখন ঢাকায় একটি রডের ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। হঠাৎ করে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন তিনি। তারপর থেকে গাছেই কাটছে তার জীবন। স্থানীয়রা আরো জানান, স্ত্রী-সন্তান না থাকায় এভাবেই মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি। গাছেই তার বাড়ি, গাছেই চলে তার সংসার। সে গাছে গাছে তিনটি বাসা বানিয়ে দিন-রাত যাপন করেন সেখানে। রোদ, বৃষ্টি ও ঝড় যাই হোক না কেন মানসিক প্রতিবন্ধী লিয়াকত আলী তার গাছে বানানো বাসায়ই অবস্থান করেন।
আপনার কয়টা বাড়ি আছে? এই প্রশ্নের জবাবে লিয়াকত আলী বলেন, আমার বাড়ি কয়টা তা ঠিক আছে। অনেকগুলো বাড়ি আছে আমার। এর মধ্যে আমি তিনটি বাড়িতে থাকি। আমি মানুষের মধ্যে বসবাস করি না।
কেন মানুষের মধ্যে বসবাস করেন না জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে গেলে রোগ হয়। প্রতিদিন চিড়া, মুড়ী, পানি খেয়ে কোনরকম জীবন বাঁচিয়ে মুক্ত বিহঙ্গের মত গাছের ডালে বসবাস করছেন তিনি। স্বাভাবিক মানুষের মতোই একটা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা দরকার বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন