নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে রমজান মাসেও অবাধে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। আর এই দেহ ব্যবসায় ঝুঁকে পড়ছে তরুণ সমাজ। রাত ৮টার পর থেকে বিভিন্ন আত্মীয়ের পরিচয়ে বিভিন্ন বয়সের ছেলেদের বাসায় এনে রাত যাপন করে। এলাকার বেশ কয়েকজন টাউট বাটপারদের সহযোগিতায় চলে এ দেহ ব্যবসা। দেহ ব্যবসার অন্তরালে চলছে অভিনব প্রতারণা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৪নং ওয়ার্ডের আউলাবন এলাকার আনোয়ার মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া ললিতা বেগম বিভিন্ন হোটেল রেষ্টুরেন্টের (মহিলা বাবুর্চি) কাজের কথা বলে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন কৌশলে আত্মীয় পরিচয়ে বাসায় এনে চালায় যৌন ব্যবসা।
জানা গেছে, এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তিরা ও অভিযুক্ত ওই নারী (ললিতা বেগম) বিভিন্ন উঠতি বয়সের মেয়েদের দিয়ে এবং বাসা-বাড়িতে বিভিন্ন কৌশলে পরিচয় দিয়ে খদ্দেরদের এনে চালাচ্ছে অবৈধ দেহ ব্যবসা। ললিতার দৌরাত্ম্যে জিম্মি হয়ে পড়েছে যুব সমাজ।
অনেককে ফাঁদে ফেলে বিয়ের কথা বলে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা।
এদিকে এক শ্রেণীর দালালদের খপ্পরে পরে সর্বস্ব হারাচ্ছে দূর দুরান্ত থেকে আসা সাধারণ মানুষ। তারা দীর্ঘদিন যাবত আউলাবন এলাকার ঘনবসতি এলাকাগুলিতে দাপটের সাথে ব্যবসা চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার স্থানীয় কয়েকজন ব্যাক্তি বলেন, এরা যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এই মহিলার রয়েছে একটা সিন্ডিকেট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী জানান, প্রথমে ললিতা সমস্যার কথা বলে টাকা ধার নেয় ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাদের বাসায় নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে অনৈতিক কর্মকান্ড করতে বাধ্য করে। এক পর্যায়ে সেই অনৈতিক সম্পর্কের অপব্যবহার করে তারা।
পরে সেই অনৈতিক সম্পর্কেও বিষয় ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় এই চক্রটি। এভাবেই তারা জোর করে ব্লাক মেইল করে সাধারণ মানুষকে।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে বলেন, তাদের এই যৌন ব্যাবসার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলে আগামীতে আমাদের এলাকায় অবৈধ কর্মকান্ড করার কেউ সাহস পাবে না। আমরা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন