শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কমলাপুরে ভোগান্তি, অনলাইনে টিকিট শেষ

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০২২, ২:০৭ পিএম

অন্যবারের মতো এবার ট্রেনের টিকিট কাটতে এসে কমলাপুরে ভোগান্তি পড়েছেন শত শত মানুষ। অন্যদিকে অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে না টিকিট। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আজ শনিবার থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট স্টেশনের পাশাপাশি অনলাইনেও বিক্রি করা হচ্ছে। অনলাইনে অর্ধেক এবং ঢাকার পাঁচটি কেন্দ্রে মিলছে বাকি অর্ধেক টিকিট। তবে সকাল ৮টা থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের ই-টিকেটিং ওয়েবসাইটে ঢুকে টিকিট কাটা যাচ্ছিল না। এক ঘণ্টা পর ওয়েবসাইট স্বাভাবিক হলেও অনেক যাত্রী টিকিট পাননি। তাদের অভিযোগ, সকালে ই-টিকেটিং ওয়েবসাইটের সার্ভার বন্ধ ছিল। ওয়েবসাইটে একটি বার্তা লিখে ধৈর্য ধরতে বলেছিল কর্তৃপক্ষ। এরপর সোয়া ৯টার দিকে ওয়েবসাইট স্বাভাবিক হলে দেখা যায় টিকিট নেই।

টিকিট প্রত্যাশী অনেকেই ফেসবুকে রেলওয়ের ফ্যান পেজে তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা লিখছেন।

সার্ভারে প্রবেশ করতে না পেরে ক্ষোভ জানিয়ে সোয়া ৯টার দিকে জিএম আজাদ হোসেন লিখেছেন, “সকাল ৮টা থেকে অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার চেষ্টা করতেছি! ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যায় না! শুধু লেখা আসে ‘ইউ আর ভেরি ভেল্যুয়েবল টু আস’। এক ঘণ্টার চেষ্টায় যখন ওয়েবসাইটে ঢুকতে পারলাম তখন দেখি টিকেট শেষ! ২৭ তারিখের ঢাকা-খুলনার কোনো টিকেট আর নাই।”

আজাদের প্রশ্ন, যেখানে ওয়েবসাইটে ঢোকা যায় না, সেখানে টিকেট শেষ হয়ে যায় কীভাবে? অনলাইনে একসেস দিল না তাহলে টিকেট গেল কোথায়? এরা দেশের মাটি বিক্রি করে দিক আমরা অন্য কোনো দেশে চলে যাই!

তবে টিকিট কাটতে পেরে কেউ কেউ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। মেহেদী হাসান নামে একজন লিখেছেন, দীর্ঘ এক ঘণ্টা যুদ্ধ করার পর টিকিট কাটতে পেরেছি। মোবাইল দিয়ে যখন লগইন করতে পারছিলাম না তখন ওয়াইফাই দিয়ে ডেক্সটপ দিয়ে ঢুকে দেখি অনেক টিকিট। সাথে সাথে তিনটি কেটে নিলাম। পৌনে ৯টার দিকে সার্ভার ফ্রি হলে ৮টা ৫৭ মিনিটে টিকিট কাটতে পেরেছি। যারা কাটতে পারেন নাই আগামীকাল পৌনে ৯টা থেকে চেষ্টা করতে পারেন। টিকেট কাটতে পেরে নিজেকে নায়ক নায়ক মনে হচ্ছে।

এদিকে অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রথম দিনেই যাত্রীর ঢল নেমেছে কমলাপুরে। যাত্রীরা কেউ ভোররাত বা কেউ তার আগে থেকেই স্টেশনে এসে বসে ছিলেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রীদের লাইন আরো দীর্ঘ হচ্ছে। লাইনে দাঁড়িয়ে যারা টিকিট পা‌চ্ছেন, তারা খু‌শি। অনে‌কে আবার দীর্ঘসময় লাইন ধ‌রেও টি‌কি‌টের ব্যাপা‌রে অনিশ্চিত।

যাত্রী‌দের অভি‌যোগ, একেকটি টি‌কিট কিন‌তে প্রায় ২০ মি‌নিট সময় লাগ‌ছে। এনআইডি বা জন্মসনদ দে‌খি‌য়ে টি‌কিট নি‌তে হ‌চ্ছে।

কেন এত দে‌রি জান‌তে চাইলে কাউন্টা‌রের বিক্রয়ক‌র্মী জানান, সার্ভা‌রে বে‌শি চাপ পড়ার কার‌ণে একটু সময় লাগ‌ছে। তারপরও পর্যাপ্ত টি‌কিট র‌য়ে‌ছে। সবাই শৃঙ্খলা মে‌নে থাক‌লে টি‌কিট পা‌বেন।

এ প্রসঙ্গে কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, কাউন্টারগুলোতে টিকিট প্রত্যাশীর সংখ্যা অনেক বেশি। শনিবার ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু, তাই ভিড় বে‌শি। ত‌বে অগ্রিম টিকিট বিক্রির সব প্রস্তুতি আমরা নি‌য়ে‌ছি। আশা করছি সুষ্ঠু, সুন্দর পরিবেশে ও সুশৃঙ্খলভাবে টিকিট বিক্রি করতে পারব। অনলাইনের পাশাপাশি কাউন্টারে ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Salahuddin ২৪ এপ্রিল, ২০২২, ২:৩১ এএম says : 0
আমাদের দেশে সাধারণ টিকিট কাটতে যদি এত দেরী হয়। অনলাইনে সার্ভারের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা কিভাবে হয় সেটা বুঝলাম না বুঝে আসেনা আমাদের মাথায়। ডিজিটাল বাংলাদেশে কোন কিছুই দুর্নীতি ছাড়া হয়না আমার মনে হয় এটা
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন