সিরাজগঞ্জ বেলকুচিতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় বাবলু বেপারী (৫০) নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনা অন্তত ১৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে নাজমুল (১৯) নামের এক জন আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা যায়। নিহত বাবলু বেপারী তেয়াশিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে। গত শুক্রবার দুপুরে বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নে তেয়াশিয়া দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে তারাবি নামাজের ইমামের টাকা নিয়ে বারেকের প্রামানিকের ছেলে নুর আলমের সাথে মুসার কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মালেকের নির্দেশে ভাতিজা নুর আলম মসজিদের ভেতরেই মুসাসহ প্রতিপক্ষ অন্যান্যদের হাতুরী দিয়ে পেটাতে থাকে এবং দু’গ্রুপের সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
আহতদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হসপিটালে ভর্তি করা হয়। রাত সাড়ে ৮ ঘটিকার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবলু (৫০) নামের একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাতিজা মনি ব্যাপারী ও এলাকাবাসি জানান, প্রায় এক বছর পুর্বে তেয়াশিয়া গ্রামের বাবুল ব্যাপারী ছোট ভাই মুন্সী ব্যাপারীর মেয়ে শিউলীর সাথে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রেমের সম্পর্কের কারনে এলাকাবাসী, প্রেমিক মাসুদ রানা মন্ডলের সাথে বিয়ে দেয়। এর দেড় মাস পরে গ্রামের আব্দুল মালেক প্রামানিকের নেতৃত্বে তাদের জোড় পুর্বক সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়। এর ২দিন পর স্থানিয় ইউপি সদস্য মালেক প্রামানিক তার ভাতিজিকে মাসুদ রানার সাথে বিয়ে দেয়। বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, দুই গ্রুপের পূর্বের শত্রুতার জেরেই আজকের হামলা হয়েছে। মালেক মেম্বারের সমর্থকদের হামলায় বাবলু বেপারী নিহত হয়েছে। আহতরা বর্তমানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হসপিটালে চিকিৎসাধীন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন