মহাসড়ক বন্ধক রেখে ঋণ নেয়ার ঘটনা তদন্ত চেয়ে রিট করা হয়েছে। গতকাল রোববার সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ওবায়েদ আহমেদ এ রিট করেন। তার পক্ষে অ্যাডভোকেট মো:তামজীদ হাসান বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরার আজমপুর অংশের মহাসড়কের সরকারি জমি বন্ধক রেখে একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ১৫ কোটি টাকা ঋণ নেয়া হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত চেয়ে আমরা রিট করেছি। বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি কাজী মো: ইজারুল হক আকন্দের ডিভিশন বেঞ্চে রিটের শুনানি হবে।
এই আইনজীবী আরও বলেন, মহাসড়কের জায়গা বন্ধক দিয়ে ঋণ নিয়েছেন গোলাম ফারুক নামে এক ব্যক্তি। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রচারিত হয়েছে। সম্প্রতি অভিযুক্ত গোলাম ফারুক একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু মহসড়কের জমি বন্ধকের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাই ওই ঘটনার তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া দুর্নীতির ঘটনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না-এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
রিটে দুদক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটে গত ১৬ এপ্রিল প্রকাশিত একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ‘মহাসড়ক বন্ধক দেখিয়ে লুটপাট ১৫ কোটি টাকা’ শীর্ষক প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মহাসড়কের সরকারি জমি বন্ধক রেখেই একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ১৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন মো: গোলাম ফারুক নামের এক ভয়ঙ্কর প্রতারক। ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই তিনি বাগিয়ে নেন মোটা অঙ্কের এ ঋণ। তবে সেটি ধরা পড়ার পর তিনি ওই দলিল সংশোধন করেন। এবার আগের বন্ধককৃত জমির দাগ নম্বর পরিবর্তন করে ব্যাংকে জমা দেন। সংশোধিত দলিলের জমিতে বন্ধকী সম্পত্তির সাইনবোর্ড স্থাপনের চেষ্টা করলে ব্যাংক জানতে পারে সেটিও ভুয়া। সংশোধিত দলিলের জমির আসল মালিক জামির আলী। ২৭ শতাংশ ওই জমি দখলে নিতে একাধিকবার তার ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টা চলে। অবশেষে গত ১৪ এপ্রিল রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে ফারুকসহ তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ফিরোজ আল মামুন ওরফে ফিরোজকে গ্রেফতার করে র্যাব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন