শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

রিং বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঠেকানোর চেষ্টা

প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শরণখোলা (বাগেরহাট) উপজেলা সংবাদদাতা

বাগেরহাটের শরণখোলায় ৩৫/১ পোল্ডারের বগী নতুন গেট এলাকায় গতকাল গত সোমবার বিকাল ৫টার দিকে চার একর জমি ও সিসি ব্লকের কাজ করা ৩শ মিটার বেড়িবাঁধ এলাকা হঠাৎ দেবে গিয়ে বলেশ্বর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। রাতে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে ওই এলাকার বিস্তীর্ণ আমন ধানের ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় ওই এলাকার মানুষের মাঝে নতুন করে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এদিকে নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধে নদী শাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসী জানায়, গত সোমবার সন্ধ্যার পূর্বে ওই এলাকার বেড়িবাঁধ হঠাৎ করে দেবে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধের কাজের দায়িত্বে থাকা চায়না ঠিকাদারি কোম্পানির সহকারী প্রকৌশলী মোজাহিদুল ইসলামসহ অন্যান্যরা এসে শত শত এলাকাবাসীকে নিয়ে এসকেভেটর মেশিন দিয়ে রিং বাঁধ দেয়ার কাজ শুরু করে। যাতে রাতে জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করতে না পারে। রাত সাড়ে ৭টার দিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ কাজ অব্যাহত ছিল। ওই এলাকার আঃ রাজ্জাক, রেবা বেগম, রুস্তুম হাওলাদারসহ অন্যান্যরা জানান, এ ঘটনার পর রাতে জোয়ারে পানি নিয়ে তারা আতঙ্কে আছেন। এ ব্যাপারে তারা দ্রুত পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। বগী ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি শায়সের আলী জানান, শরণখোলার দেড় লাখ মানুষের জন্য নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধে নদী শাসনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। নদী শাসনের ব্যবস্থা না করে নির্মাণাধীণ বেড়িবাঁধের স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধের কনসাল্টিং প্রতিষ্ঠানের সুপারভিশন প্রকৌশলী শ্যামল কুমার দত্ত রাত ৮টার দিকে জানান, চারটি এসকেভেটর দিয়ে রিং বাঁধ তৈরির কাজ চলছে। জোয়ারের পানি যাতে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য রাতের মধ্যেই রিং বাঁধ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। শরণখোলার ইউএনও মোহাম্মদ অতুল ম-ল রাত ৮টায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রওয়ানা হয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন