জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার যমুনা নদী ভাঙন প্রতিরোধে বাঁধ-কাম রাস্তা নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ২০২০-২১ অর্থ বছরের চলমান কাবিটা প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে রাস্তা-কাম বাঁধ নির্মাণ কাজ গত ১৫ এপ্রিল ২০২২ তারিখে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান উদ্বোধন করেন।
জানা যায়, কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) কর্মসূচি প্রকল্পের অধীনে উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নের ডাক্তার বাড়ি হয়ে উলিয়া বাজার পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তা-কাম বাঁধ নির্মাণ কাজের প্রথম পর্যায়ে ১ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হয়। প্রকল্প নিয়ম অনুযায়ী রাস্তা-কাম বাঁধটি অতিদরিদ্র শ্রমিক নিয়োগ করে রাস্তা-কাম বাঁধটির কাজ করার কথা থাকলেও প্রকল্পের সভাপতি ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম ভেকু মেশিন দিয়ে বাঁধের পাড় ঘেষে মাটি কেটে রাস্তা কাম-বাঁধ নির্মাণ করায় বর্ষা মৌসুমে রাস্তা বাঁধটি সম্পূর্ণরূপে ঝুঁকিতে পড়বে। এ নিয়ে এলাকার সুধীসহ শ্রমিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বর্ষা মৌসুমে রাস্তা-কাম বাঁধের পাড় ঘেষে ভেকু মেশিন দিয়ে বাঁধের মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণ করায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পড়ে এলাকাবাসীর চাপে ওই গর্ত বলগেট মেশিন দিয়ে যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বাঁধের নিকট গর্ত বরাট করছে। এতে প্রকল্পের টাকা গচ্ছা যাচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় শ্রমিক পরিবর্তে ভেকু মেশিনে রাস্তা ও বাঁধ নির্মাণ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার পায়তারা করছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটুকে মোবাইল ফোনে জিজ্ঞেস করলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, আমি প্রকল্পের সভাপতি আব্দুস সালামকে জানিয়ে দিয়েছি শ্রমিক দিয়ে রাস্তা ও বাঁধের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। তা না হলে বিল আটকে যাবে। প্রকল্পের সভাপতি আব্দুস সালামকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, বাঁধের কাজ দেখে চলে যান। আপনাদের সাথে পরে কথা বলব।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মু. তানভীর হাসান রুমানকে শ্রমিকের পরিবর্তে ভেকু দিয়ে রাস্তা ও বাঁধ নির্মাণ কাজের কথা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, সামনে বর্ষা মৌসুম ও বন্যা হওয়ার আশংকা থাকায় দ্রুত সময়ে কাজ শেষ করার জন্যই ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন