তুর্কি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) এবং সমাজসেবীরা আল-আকসা মসজিদের আঙিনায় পবিত্র রমজান মাসের ইফতার এবং দরিদ্রদের মধ্যে সাহায্য বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। গতকাল ফিলিস্তিন সংহতি দিবসের আগের দিন বৃহস্পতিবার আল-আকসায় ইফতারের আয়োজন করা হয়। মসজিদে সহিংস ইসরায়েলি অভিযানের পরে সম্প্রতি উত্তেজনা হ্রাস পেলেও হাজার হাজার মুসলমান এখনও ইসরায়েলি বাহিনীর সহিংসতার হুমকি উপেক্ষা করে প্রতিদিন ইফতার করতে মসজিদের উঠানে জড়ো হন।
তুর্কি এনজিওগুলো পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে সাহায্য বিতরণ করছে। এসব সাহায্যের মধ্যে রয়েছে তহবিল, আসন্ন ঈদুল ফিতরের জন্য নতুন পোশাক এবং খাবার।
সাদাকাতাশি অ্যাসোসিয়েশনের একজন বোর্ড সদস্য এনেস এরবাস উল্লেখ করেছেন যে, তারা অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের ১ হাজার পরিবারকে খাদ্য প্যাকেজ এবং ১০০ জন এতিম শিশুর জন্য নতুন পোশাক বিতরণ করেছে। গাজায় তারা ৮০০ পরিবারকে খাদ্য প্যাকেজ বিতরণ করেছে, ১,৮০০ জনকে ইফতারের খাবার দিয়েছে এবং পশ্চিম তীরে আরো ৩০০ পরিবারকে আরো খাদ্য প্যাকেজ বিতরণ করেছে।
তিনি বলেন, আল-আকসায় তুর্কি এনজিওদের ইফতার খাবার ১২ বছর ধরে একটি ঐতিহ্য। এ মাসের শুরুতে শত শত ইহুদি বসতি স্থাপনকারী পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে হামলা চালায়। ইসরায়েলি বাহিনী আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে মুসল্লিদের সাথে সংঘর্ষের মধ্যে হামলা চালিয়ে শতাধিক আহত হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনি অঞ্চল জুড়ে উত্তেজনা বেড়েছে।
আল-আকসা মসজিদ মুসলিমদের জন্য বিশ্বের তৃতীয় পবিত্র স্থান। ইহুদিরা এলাকাটিকে ‘টেম্পল মাউন্ট’ বলে দাবি করে। তাদের দাবি, এটি প্রাচীনকালে দুটি ইহুদি মন্দিরের স্থান ছিল। সূত্র : ডেইলি সাবাহ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন