গঠনতন্ত্র লঙ্গন করে টানা তিন বছর ধরে দুই সদস্যের কমিটি দিয়ে চলছে গাজীপুর সদর উপজেলা যুবলীগ। এনিয়ে সংগঠনের ভেতরে-বাইরে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় যুবলীগ কর্মীদের অভিযোগ, জুয়া পরিচালনার দায়ে জেল-হাজত বাস করেছে এমন ব্যক্তি যুবলীগের নেতৃত্বে রয়েছে। এতে সংগঠনে অস্তিত্ব সঙ্কটের সৃষ্টি হচ্ছে।
২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর জেলার আহবায়ক এস এম আলতাব হোসেন ও যুগ্ম আহবায়ক সেলিম আজাদ সদর উপজেলা যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার জন্য আমির হোসেন আমু সভাপতি ও বেলায়েত হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে তিন বছরের মেয়াদে কমিটির অনুমোদন দেয়। সেই কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ছয় মাস অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছে, তবুও সদর উপজেলা যুবলীগের ওয়ার্ড কমিটিসহ পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। এতে সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের যুগ্মআহবায়ক সেলিম আজাদ বলেন, থানা পর্যায়ের কমিটি থেকে শুরু করে সকল কমিটির দেখভাল করে কেন্দ্রীয় কমিটি। কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা পেলেই নতুন করে কমিটি ঘোষণা করা হবে। কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন খসরু বলেন, দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইতোমধ্য তদন্ত শুরু হয়েছে তদন্ত শেষ করে সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশনায় নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।
পদ-পদবী বঞ্চিত কর্মীরা বলছেন, এতে যেমন সংগঠনের এই শাখা গতি হারিয়ে ফেলছে, তেমনি দীর্ঘদিন ধরে সম্মেলন না হওয়ায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন অনেক নেতাকর্মী। সময় যতই গড়াচ্ছে সংগঠনটির দায়িত্বশীল নেতাদের মাঝে দূরত্ব তত বাড়ছে। ভেঙে পড়েছে চেইন অব র্কমান্ড। কমেছে সাংগঠনিক কার্যক্রমও।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন