শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

চুুনারুঘাট পৌর শহরে অবৈধ ইটভাটা নীরব প্রশাসন

প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এস.এম সুলতান খান, চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) থেকে

হবিগঞ্জের চুুুনারুঘাট পৌরসভার সীমানার ভিতরে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে ইটভাটা স্থাপন করে কার্যক্রম চলছে। পৌর শহরের ভিতরে ইটভাটা স্থাপন অবৈধ হলেও চলছে ইট কাটা ও ইট পোড়ানোর কাজ। বর্তমান আইনে ইটভাটার ঝিকঝাক পদ্ধতিতে চিমনী ৬০ ফুট লম্বা হওয়ার কথা থাকলেও পৌরসভার ভিতরে ১২০ফুট লম্বার পুরাতন চিমনী দিয়েই ইট পুড়ানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ইট ভাটার মালিকগণ। সংশোধিত ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) ২০১৩ আইনে পৌর শহরের সীমানার ভিতরে, উপজেলা সদর, সিটি কর্পোরেশন, সরকারি বা ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ও বন, অভয়ারণ্য বাগান বা কৃষি জমি, পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা নিষিদ্ধ এলাকার সীমারেখা থেকে ন্যূনতম ১ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না বলা হলেও তা মানা হচ্ছে না। ইটভাটা মালিকগণের হাইকোর্টে দায়েরকৃত এক রিটে বলা হয়, “ইট পোড়ানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন ১৯৮৯ অনুযায়ী চুনারুঘাট পৌর শহরের ৪টি ব্রিকস ফিল্ড মালিককে ২ বছর পূর্বে হাইকোর্ট ২ লাখ টাকা জরিমানা সাপেক্ষে ৬ মাসের মধ্যে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়া পূর্বতন আইন অনুযায়ী বিদ্যামান ১২০ ফুট উচ্চতা স্থায়ী চিমনীবিশিষ্ট ইটভাটাসমূহকে প্রণীত ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুযায়ী গত ১ জুলাই ২০১৪ হতে কার্যকরী হয় বিধায় অনুচ্ছেদ ২ ও ৩ এ বর্ণিত সুবিধাসমূহ কোন ক্রমেই তা বর্ধিত করা হবে না”। কিন্তু ইটভাটা মালিকগণ তা অমান্য করে প্রায় ২ বছর যাবৎ অন্যত্র না সরিয়ে অদ্যবধি পৌর শহরে পীরের বাজার মের্সাস অনিক ব্রিকস ও গোগাউড়া গ্রামের পাশে মেসার্স তরফ ব্রিকস ইটভাটার কার্যক্রম এ বছরও চলছে। অন্য দুটি ব্রিকস এনি ও তাজ ব্রিকস ফিল্ডের কার্যক্রম চলতি বছর বন্ধ রয়েছে। এসব ইটভাটার ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন অবগত থাকলেও রহস্যজনক কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে সুশীল সমাজ মনে করছেন। অপরদিকে লোকালয়ে আবাদি জমিগুলোতে ইটভাটা স্থাপন করে পরিবেশ বিনষ্ট করে ইটভাটার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ফলে বিনষ্ট পরিবেশ। এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ জামিল জানান, জেলা প্রশাসন থেকে আমাদের নিকট অবৈধ ইটভাটার একটি তালিকা এসেছে। খুব শীঘ্রই আমরা তা পদক্ষেপ গ্রহণ করব। এছাড়াও দ্রুত এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে বিএসটিআই’র সহযোগিতায় অভিযানে নামবো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন