পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদ হারানোর পরে একের পর এক অভিযোগের মুখে ইমরান খান। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন উপহার পাওয়া একটি নেকলেস বিক্রি, ধর্মদ্রোহের পর এ বার তার বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির অভিযোগে তদন্ত শুরু হল।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই চরম প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করেছে শাহবাজ শরিফের সরকার। ইমরান খান ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ইমরানের তরফে সরকারকে দেয়া আয় এবং সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য নতুন করে পরীক্ষা করে দেখা হবে।
পাশাপাশি, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর চার নেতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, আয় ও সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি ও তথ্য পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইমরানের বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগের জেরে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ‘ফেডেরাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি’ (এফআইএ) এবং ‘ফেডেরাল বোর্ড অফ রেভিনিউ’-কে এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে প্রকাশিত খবরে দাবি।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন উপহার পাওয়া একটি নেকলেস ১৮ কোটি টাকায় বিক্রির অভিযোগে ইতিমধ্যেই ইমরানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে এফআইএ। বহুমূল্য নেকলেসটি আত্মসাৎ করার জন্য ইমরান পাক আইনের একটি ধারাকে হাতিয়ার করেন বলে অভিযোগ। ওই ধারা অনুযায়ী, কোনও সরকারি বা সাংবিধানিক পদাধিকারী উপহার নিজের কাছে রাখতে চাইলে সেটির বাজারমূল্যের অর্ধেক সরকারি কোষাগারে জমা করতে হয়। কিন্তু ইমরান নেকলেসের মূল্য অনেক কম দেখিয়ে মাত্র কয়েক হাজার টাকা সরকারি ভাঁড়ারে জমা দিয়ে সেটি নিয়েছিলেন।
গত মাসে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সউদী আরবে পবিত্র মদিনা শহর পরিদর্শনের সময় তার বিরুদ্ধে স্থানীয় জনতা ও ইমরান খানের সমর্থক নেতা-কর্মীরা স্লোগান দেন বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার জেরে সাবেক পাক ক্রিকেট অধিনায়কের বিরুদ্ধে ধর্মদ্রোহের মামলার দায়ের করা হয়েছে। সূত্র: টাইমস নাউ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন