মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার রাইল্যা দক্ষিন কুষ্টিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে গৃহবধুকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
আদালত সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার প্রতিবেদন নির্দেশ দিয়েছে।
রবিবার (৮ মে) সাটুরিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস জানিয়েছেন, মামলার হওয়ার বিষয়টি তার জানা ছিল না। ইতিপূর্বেও এ শিক্ষককে স্কুল ফাঁকির অভিযোগে শোকস করা হয়েছে। তবে ঘটনার সত্যতা থাকলে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত শিক্ষক উপজেলার রাইল্যা দক্ষিন কুষ্টিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আ: বারেক (বারী মাস্টার)। সে সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের রাজৈর গ্রামের মৃত মুন্নাফ মিয়ার পুত্র।
শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা গৃহবধু বাবার বাড়িও রাজৈর গ্রামে। সে বর্তমানে সেখানে থাকে। বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মানিকগঞ্জ এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে যার পিটিশন নং ৭১/২০২২।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গৃহবধু একজন স্বামী পরিত্যক্তা মহিলা। পিতার বাড়িতে থাকা অসহায় জীবন যাপন করে । অভিযুক্ত উপজেলার রাইল্যা দক্ষিন কুষ্টিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আ: বারেক (বারী মাস্টার) গ্রামের বাসিন্দা এই সুযোগে যাওয়া আসার পথে বাদিকে বিভিন্ন সময় বিয়ের প্রলোভন দেয় ও রাস্তাঘাটে যেখানে সেখানে কুপ্রস্তাব দিতো। গৃহবধু এতে রাজি না হওয়ায় ঘটনার দিন রাতে আসামি গৃহবধু বাবার বাড়ির ঘরের দরজা খিল ভেঙ্গে প্রবেশ করে গৃহবধুকে জোর পূর্বক তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে। এ সময় গৃহবধুর চিৎকারে এলাকার লোকজন জমা হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আ: বারেক কে আটক করে বেধে রাখে। পরে তার লোকজন জোর করে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
মামলার বাদী গৃহবধু জানায়, রাইল্যা দক্ষিন কুষ্টিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আ: বারেক (বারী মাস্টার) তাকে বিভিন্ন সময় বিয়ের প্রলোভন দিয়ে রাস্তাঘাটে যেখানে সেখানে কুপ্রস্তাব দিতো। ঘটনার দিন রাতে তার ঘরে প্রবেশ করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষন করে। এ সময় স্থানীয় জনতা বারী মাস্টকে আটক করে বেধে রাখে। যা এলাকার সকলে অবগত। অভিযুক্ত শিক্ষক বারী মাস্টারের উপযুক্ত সাজা দাবি জানায় সে।
সাটুরিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, মামলার হওয়ার বিষয়টি তার জানা ছিল না। ইতিপূর্বেও এ শিক্ষককে স্কুল ফাঁকির অভিযোগে শোকস করা হয়েছে। তবে ঘটনার সত্যতা থাকলে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে বরখাস্ত করা হবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাটুরিয়া থানার এসআই মোক্তার জানায়, প্রাথমিক ভাবে ঘটনার সত্বত্যা পাওয়া গেছে। তদন্ত চলছে, তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আশরাফুল আলম জানায়, গৃহবধুকে ধর্ষনের মামলার আলামত পরিক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গৃহবধু স্বীকার করেছে তাকে ধর্ষনের করেছে। ঘটনার সত্বত্যা পাওয়া গেলে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
অভিযুক্ত রাইল্যা দক্ষিন কুষ্টিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আ: বারেক (বারী মাস্টার) এর সাথে যোগাযোগ করা হলে সে সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ করে বলে ঘটনাটি সাজানো। তবে তাকে ঘটনার রাতে আটক হয়ে বেধে রাখার ছবি থাকার কথা জানালে অভিযুক্ত শিক্ষক সে রাতে আটক হওয়ার কথা শিকার করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন