রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভার সদ্য বরখাস্ত হওয়া মেয়র আল মামুনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর আগে আদালত ধর্ষণ মামলায় তাঁর জামিন নামঞ্জুর করেন। সোমবার সকালে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে নারী ও শিশু নির্যাতন আদালত-২-এর বিচারক হাসানুজ্জামান রিপন জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে যানাগেছে, সদর এলাকার এক কলেজছাত্রীকে পৌরসভায় চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে মেয়র মামুনের বিরুদ্ধে। পরে ওই ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মেয়রের নামে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর মেয়র পলাতক ছিলেন। পরে পুলিশ প্রযুক্তির মাধ্যমে গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর বরগুনা জেলার একটি স্থান থেকে মেয়র মামুনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তিনি থানার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা না দেওয়া পর্যন্ত জামিনে ছিলেন। সেই সঙ্গে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মেয়রকে গত ২২ নভেম্বর পৌরসভা আইন, ২০০৯ এর ৩১ (১) ধারা অনুযায়ী নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে অভিযুক্ত হওয়ায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ইব্রাহিম বলেন, ‘অভিযুক্ত আল মামুনের জামিনের মেয়াদ গত ডিসেম্বরের শুরুতেই শেষ হয়। এরপর তিনি যথাসময়ে আদালতে হাজির না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারের আদেশ দেন আদালত। এরপর আজ আদালতে হাজির করে তাঁর পক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রী বলেন, ‘মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর থেকে তাঁর সহযোগীদের দিয়ে আমার ও আমার বাবা-মায়ের নামে ১০৭ ধারায় এখন পর্যন্ত ৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরও কয়েকটি মামলা করা হবে বলে মেয়রের সহযোগীরা প্রতিনিয়ত আমাদের হুমকি দিচ্ছে। আমি মেয়রের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।’
থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, ‘ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগ করলে সে সময় তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। সম্প্রতি স্বাস্থ্য পরীক্ষার ওই প্রতিবেদন পাওয়া গেছে।’
ওসি বলেন, ‘হাসপাতালের প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। সে মোতাবেক থানা থেকে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন