শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

কিশোরগঞ্জে মাদরাসাছাত্রী গণধর্ষণের শিকার

কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০২২, ১২:০১ এএম

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় বিয়েতে রাজী না হওয়ায় মাদরাসার পড়ুয়া সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণ করে ১৫ দিন আটকে রেখে ৪ জন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
গত রোববার রাতে পালিয়ে এসে বাড়িতে ফোন দিলে পুটিমারী ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ মোড় থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে আনে। বাড়িতে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে গত সোমবার কিশোরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। জরুরি বিভাগের ডাক্তার গতকাল মঙ্গলবার তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে রেফার করে।
জানা যায়, কালিকাপুর গ্রামের আনিছার রহমানের মেয়ে কালিকাপুর দাখিল মাদরাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। গত ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যার সময় খালার বাড়িতে ইফতার দিয়ে ফেরার সময় কালিকাপুর মাঝাপাড়া আজিজার রহমানের বাশঁঝাড়ের কাছে পৌঁছালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একই ইউনিয়নের বড়বাড়ি বালাপাড়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে মানিক মিয়া ও জলঢাকা উপজেলার টেংগনমারী খুটামারা দীঘলটারী গ্রামের কামরুল ইসলামের ছেলে জীবন মেয়েটিকে জোর করে ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। সেখান থেকে মেয়েটির চোখ বেধে অজ্ঞাত স্থানে একটি ঘরে আটকে রেখে একজন অজ্ঞাতসহ তারা সারারাত আবারো ধর্ষণ করে। পরদিন ওই ছাত্রীর দূর সম্পর্কের দুলাভাই তারজিনা ও রশিদুলের সহযোগিতায় তাকে রংপুরের সুঠিবাড়িতে একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তারা দিনের পর দিন ধর্ষণ করে। ধর্ষিতার বাবা আনিছার রহমান বলেন, মেয়ের কাছে ঘটনা শুনে কান্নায় আমার বুক ফেটে যাচ্ছে। ধর্ষিতা বলেন, রংপুর সুঠিবাড়িতে মাহমুদুল নামে একটি লোকের বাড়িতে আমাকে আটকে রেখে নরপশুরা দিনের পর দিন খুবলে খেয়েছে। বাড়িওয়ালার হাতে পায়ে ধরে আমি কোন রকমে পালিয়ে এসে এখন পর্যন্ত বেঁচে আছি। ঘটনার প্রাথমিক পর্যায়ে মেয়েকে খুজে না পেয়ে মেয়ের বাবা থানায় অভিযোগ করেন।
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি রাজীব কুমার রায় বলেন, অপহরণের অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত ধর্ষণের অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন