শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

জয়পুরহাটে পাতকুয়ায় বরেন্দ্র অঞ্চলে বিনামূল্যে সেচ সুবিধা

মো. আবু মুসা, জয়পুরহাট থেকে | প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০২২, ১২:০১ এএম

কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প জয়পুরহাট বরেন্দ্র অঞ্চলের পাতকুয়ার সুফল পেতে শুরু করেছে এলাকার স্থানীয় কৃষকরা। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে স্থাপিত পাতকুয়া অবদান রাখছে কৃষিতেও। ইতোমধ্যে এ অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ সরাসরি পাতকুয়ার সুফল ভোগ করছেন।
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রতিনিয়ত ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। এতে দেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি ও হুমকির মুখে পড়েছে বরেন্দ্র অঞ্চলের চাষিরা। হাতকল আসার আগে এ অঞ্চলের কৃষি ও সুপেয় পানির নির্ভরযোগ্য অবলম্বন ছিল পাতকুয়া। তবে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাবমার্সিবল পাম্প, গভীর নলকূপসহ নানা প্রযুক্তির কাছে হারিয়ে যায় এই পাতকুয়া।
দীর্ঘদিন পর হলেও কৃষি কাজসহ অন্যান্য কাজের জন্য পাতকুয়ার প্রয়োজন অনুভব করছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। ফলে বরেন্দ্র অঞ্চলে সেচ কাজসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহার হচ্ছে পাতকুয়ার। পাতকুয়া হলো ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তরের নিচ গোলাকার আকৃতিতে মাটি খনন করে চারপাশ থেকে চুয়ানো পানি ধরে রাখার জায়গা। এসব পানি এলএলপির মাধ্যমে প্রথমে একটি ট্যাঙ্কিত তোলা হয়। তারপর সৌর শক্তি ব্যবহার করে যন্ত্রের মাধ্যমে সেই পানি যাচ্ছে ঘর গৃহস্থালী ও কৃষি জমির সেচ কাজে। ফলে পাতকুয়ার চারপাশে মাটিতে এখন নির্বিঘ্নে চাষাবাদ করা হচ্ছে নানা রকম ফসল।
জয়পুরহাট বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) অফিস সূত্রে জানা যায়, এ আঞ্চলে জেলা সদর ও পাঁচবিবি উপজেলায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে সৌরশক্তি চালিত ১০টি পাতকুয়া নির্মাণ করা হয়েছে। এসব পাতকুয়ার মাধ্যমে দুই উপজেলায় প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। ফলে কম খরচে স্বল্প সেচের ফসলের আবাদ ফলানো সম্ভব হয়েছে। প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা বলছে পাতকুয়াগুলোর ফলে তাদের দৈনন্দিন জীবনমান বদলে গেছে।
জয়পুরহাট বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)-এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সেজান আশরাফ বলেন, পাতকুয়া খননের মাধ্যমে বরেন্দ্র এলাকায় স্বল্পসেচে ফসল উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি উপজেলার বিভিন্ন মৌজায় ১০টি পাতকুয়া নির্মাণ করা হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে বিএমডিএ। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে শুরু হয়ে এর কার্যকারিতা অব্যাহত রয়েছে। এর সুবিধা হলো কৃষকের কাছ থেকে খরচ নেয়া হয় না। শুষ্ক মৌসুমে এটা খুব কার্যকর ও কৃষকবান্ধব। পাতকুয়ার মাধ্যমে স্বল্পসেচের বিভিন্ন ফসল চাষে বিনামূল্যে সেচ সুবিধা পাওয়ায় উপকৃত হচ্ছে দুই উপজেলার শত শত প্রান্তিক কৃষক।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন