১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায় কেনা প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছিল ১৮০ টাকায়। খবর পেয়ে গতকাল বুধবার সেখানে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। অভিযানে দুই দোকানিকে মোট ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে জামাল ব্রাদার্সকে আগের দামে কেনা তেল বর্ধিত দামে বিক্রি করায় আর বিনিময় স্টোরকে ১৭০ লিটার তেল মজুত করায় জরিমানা করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তারা জানান, কর্ণেল হাট বাজারের ব্যবসায়ী আইয়ুব আলী প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল কিনেছিলেন ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। কিন্তু সেই তেল ১৮০ টাকা দরে বিক্রি করছিলেন। আগের দামে কেনা তেল নতুন দামে বিক্রি করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
আইয়ুব আলীর জামাল অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের দোকান থেকে চার হাজার লিটার খোলা সয়াবিন তেল পাওয়া গেছে। আগের দামে ১৩০-১৩৫ টাকায় তিনি এসব তেল কিনেছিলেন। কিন্তু এখন সরকার নির্ধারিত বর্ধিত মূল্যে বিক্রি করছিলেন। এ জন্যই তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি পুরোনো দরে সয়াবিন তেল বিক্রির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তাকে।
একই বাজারের বিনিময় স্টোরের মালিক পরিমল দেবকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কারণ, তিনি ১৭০ লিটার তেল গুদামে রেখে বর্ধিত দামে বিক্রি করছিলেন। কিন্তু দোকানে কোনো তেল রাখেননি। এর আগে গত সোমবার নগরীর পাহাড়তলী বাজারের দিল্লি লেইন এলাকার একটি দোকানের তিনটি গুদাম থেকে ১৫ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করে অধিদফতর। পরে দোকানিকে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দ তেল আশপাশের দোকান ও ভোক্তাদের কাছে নির্ধারিত দামে বিক্রি করা হয়।
আগের দিন রোববার ২ নম্বর গেটের কর্ণফুলী কমপ্লেক্সের খাজা স্টোর নামের একটি দোকানের নিচে থাকা গুদামের এক হাজার লিটার তেলের খোঁজ পায় ভোক্তা অধিকার অধিদফতর। শনিবার রাতে ফটিকছড়ির ভূজপুর থানার বাগানবাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ গজারিয়া গ্রামের এক দোকানির বাসা থেকেও দুই হাজার ৩২৮ লিটার তেল জব্দ করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন