দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌরুট। এই রুটে মঙ্গলবার ঝড়ো বাতাসে পদ্মা নদী উত্তাল থাকার কারণে দুপুরের পর থেকে সকল লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। গতকাল বুধবার আবহাওয়া ভালো হওয়ার সকাল থেকেই লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফেরি চলাচল সচল করা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে উত্তাল রয়েছে পদ্মা। এরকম আবহাওয়ায় স্পিডবোটে পদ্মাপাড়ি দেওয়া বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের অধিকাংশ যাত্রীরা ফেরিতে করে পদ্মা পার হওয়ায় চাপ বেড়েছে।
বুধবার শিমুলিয়া ঘাটে এমন চিত্র দেখা যায়।
ঘাটে আসা ঢাকাগামী যাত্রী শফিকুল বলেন, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। স্পিডবোটে যাওয়া অনেক ঝুঁকি তাই ফেরি দিয়ে পার হলাম, স্পিডবোট থেকে লঞ্চ আর ফেরিতে যাত্রীর চাপ বেশি।
বরিশাল থেকে আসা ঢাকাগামী যাত্রী মো. বদরুদ্দিন মিয়া জানান, ফেরিতে মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবেই যাত্রীদের ফেরিতে ভিড় বেশি। লঞ্চ আর স্পিডবোটের যাত্রীরাই ফেরিতে আগে উঠে পড়ছে।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার থেকে তুলনামূলক আবহাওয়া ভালো থাকায় পুনরায় লঞ্চ ও স্পিডবোট সচল করা হয়। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বুধবার ভোর ৬টা থেকে এসব নৌযান দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তীব্র বাতাস ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে যাত্রী নিরাপত্তা ও দুর্ঘটনা এড়াতে লঞ্চ এবং স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ)। দুপুরে আধা ঘণ্টার জন্য ফেরি চলাচলও বন্ধ থাকে।
বিআইডব্লিউটিএর শিমুলিয়া ঘাটের নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক এবং সহকারী বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার থেকে তুলনামূলক আবহাওয়া বুধবার ভালো থাকায় পুনরায় লঞ্চ ও স্পিডবোট সচল করা হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ম্যানেজার মো. জামাল হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিরকান্দি নৌরুটে ১০টি ফেরিতে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। আবহাওয়া খারাপের কারণে ফেরি দিয়ে বেশি যাত্রীরা পদ্মা পার হচ্ছেন। ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় কোনো গাড়ির চাপ নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন