কলারোয়ায় মাঠ থেকে কেটে আনা ভিজা ধান চারা গজানো রোধে বিষাক্ত আগাছা নাশক স্প্রে করা হচ্ছে। জানা গেছে, কলারোয়ার মাঠে মাঠে ধান কাটা, বাধা ঝাড়ার এক পর্যায়ে গত সোমরার সকল সোয়া ১০ টায় মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। এই অবস্থায় মাঠে কেটে রাখা হাজার হাজার বিঘা জমির ধান পানিতে ফেলে কৃষকরা বাড়ি ফিরতে বাধ্য হয়। সেই থেকে গত কয়েকদিন বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া অব্যাহত রয়েছে। ফলে নিম্নাঞ্চলের হাজার হাজার বিঘা জমির কাটা ধান পানিতে ভাসছে। আবার বৃষ্টি ও দমকা বাতাসে আধা পাকা ও পাকা ধানগাছ পানিতে পড়ে গেছে।
গত কয়েকদিন কৃষক বৃষ্টির ফাকে ফাকে কেটে রাখা ও পড়ে যাওয়া ধান ক্ষতির হাত থেকে বাচাতে বউ বাচ্ছা দিনমজুর নিয়ে কোমর বেধে মাঠে নামে। কেউবা কেটে রাখা বা পানিতে পড়া ধান মাঠের উচু স্থানে, কেউবা রাস্তায় নিয়ে ঝেড়ে ধান বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মেঘলা আবাহওয়া ও মাঝে মাঝে বৃষ্টির জন্য ধান শুকানোর সুযোগ নেই। ফলে ভিজা ধানে চারা গজাতে শুরু করেছে। আবার স্তূপ করে বা বস্তায় ভরে রাখা ভিজা ধান পচে একেবারে বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। আর এই ভিজা ধানের চারা গজানো বা ড্যামেজ রোধে ধান বিছিয়ে দিয়ে তার ওপর রিপিট, মিচিউটিসহ নানা প্রকার আগাছা নাশক স্প্রে করা হচ্ছে। এসব আগাছা নাশক ভেতরে প্রবেশ করে ধানের অঙ্কুর উদগম ক্ষমতা বিনষ্ট করবে এবং কিছুটা পচন রোধে সহায়তা করবে। গত সোমবার থেকে ধান কৃষক পরিবার ধান ভাল রাখার নানা কৌশল অবলম্বন করে।
এদিকে আবাহওয়ার উন্নতি হলে আগাছা নাশক মিশানো ধান রোদে শুকিয়ে বাজারজাত করা হবে। এই ধানের চাল তৈরি করে পরবর্তীতে মানুষকে খাওয়ানোর জন্য বাজারজাত করা হবে। ফলে মানবদেহে এর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহবুবর রহমান বলেন, আগাছানাশক কীটনাশকের মত ক্ষতিকর। এর প্রভাবে পেটের পীড়া, লিভার, কিডনী ড্যামেজসহ ক্যান্সার হতে পারে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ধানে ক্ষতিকর বিষাক্ত রাসায়নিক স্প্রের বিষয় জানার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উপ-সহকারী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের এব্যাপারে সতর্ক করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন