পাকিস্তান তাহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) এর চেয়ারম্যান এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি করেছেন অন্যথায় আমদানি করা সরকার থেকে মুক্তি পেতে ইসলামাবাদের দিকে লাখো মানুষের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
গত শুক্রবার মারদান-নওশেরা রোডের রেলস্টেশন মাঠে এক জনসভায় বক্তৃতাকালে ইমরান খান বলেন, তিনি রাজনীতির স্বার্থে জনগণকে রাজপথে নামার জন্য ডাকছেন না, বরং একটি বিপ্লব ঘটাতে, জাতিকে পরাশক্তি থেকে মুক্ত করার জন্য ডাকছেন। এর আগে, ইসলামাবাদে তার বানিগালা বাসভবনে সাংবাদিকের সাথে কথা বলার সময়, খান দাবি করেছিলেন যে, তিনি ‘প্রতিষ্ঠানের’ লোকেদের কাছ থেকে ‘বার্তা’ পাচ্ছেন না কারণ তিনি তাদের ফোন নম্বরগুলি ‘ব্লক’ করে রেখেছিলেন। কারণ, তৎকালীন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজদার এবং তৎকালীন দেশের স্পাইমাস্টার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়েজ হামিদকে অপসারণের ইস্যুতে উভয় পক্ষের মধ্যে ‘মতপার্থক্য’ রয়েছে।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘প্রতিষ্ঠান থেকে বার্তা আসছে, তবে আগামী সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত আমি কারও সাথে কথা বলব না।’ তিনি জনগণকে রাজধানীতে ‘ঐতিহাসিক মার্চ’-এর জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, ‘অনেকগুলি বিকল্প (হবে) যখন লোকেরা রাস্তায় আসবে’। এর আগে, পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থা ভোট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন ইমরান খান। গত ৭ এপ্রিল ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরির নির্দেশকে খারিজ করে দিয়েছিল পাক শীর্ষ আদালত। সেই রায়ের বিরুদ্ধে ‘রিভিউ পিটিশন’ দায়ের করেছেন তিনি।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দায়ের করে ইমরানের আইনজীবী বলেছেন, ‘পাকিস্তানের সংবিধানের ২৪৮ নম্বর অনুচ্ছেদ বলছে, আইনসভা এবং বিচার বিভাগ পরস্পরের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তাই আইনসভার ডেপুটি স্পিকার সংবিধানের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন, তা বাতিল করার অধিকার নেই সুপ্রিম কোর্টের।’ সূত্র : ডন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন