ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদরে মুক্তিযোদ্ধা আঃ সামাদ মাস্টারের ৬৬ শতাংশ মাঠী জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছ। জানা যায়, বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের সরকারি রোকন উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে পাকা রাস্তা ঘেঁষে মুক্তিযোদ্ধা আঃ সামাদ মাস্টারের প্রায় ৬৬ শতাংশ মাঠী জমি স্থানীয় আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোশারফ হোসেন ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ মিলে জবরদখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। দখলদাররা ইতোমধ্যে পাকা রাস্তা ঘেঁষে একটি টিনের ঘর উঠিয়েছে এবং মাঠী জমিটুকু দখলের জন্য জমির সীমানা বাঁশের আড়া বেঁেধ আটকানোসহ খাম, খুমি, টিনের বেড়া ও চাল এনে ঘর উঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। গত বুধবার উক্ত দখলদার উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোশারফ হোসেনকে বার বার মুঠো ফোন করার পরও তিনি এ প্রতিবেদকের ফোন ধরেননি। ক্ষতিগ্রস্ত মুক্তিযোদ্ধা জানান, একই গ্রামের মৃত মাধব চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে ক্ষেত্র মোহন বিশ্বাসের কাছ থেকে ১৯৯২ সালে ১৬৬ নং খোষ কবলা দলিলমূলে ৬৬ শতাংশ জমি কিনে বিগত ২৪ বছর ধরে ভোগ ও দখলে আছেন ওই মুক্তিযোদ্ধা। এ জমির সীমানায় পাকা রাস্তার অপর পাড়ে তার বসতবাড়ী। কিন্তু সম্প্রতি উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোশারফ হোসেন উক্ত জমির স্বত্ব দাবি করে দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন। উক্ত মুক্তিযোদ্ধা আরও জানান, বিরোধীয় জমির এক সাজানো স্বত্ব দাবিদার উপজেলার এম.পি. ডাঙ্গী গ্রামের শেখ আঃ গফুর নামক জনৈক ব্যক্তির কাছ থেকে আ.লীগ নেতা একটি রেজিস্ট্রি দলিল করেছেন বলে জানা যায়। কিন্তু বিরোধীয় জমির উক্ত স্বত্ব দাবিদার মামলা করার পর ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর হাইকোর্ট মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে ডিগ্রি দেওয়ার পরও ক্ষমতা ও পেশিশক্তির দাপটে উক্ত আ.লীগ নেতা জমি দখলের চেষ্টা চলাচ্ছেন। গত ক’দিন ধরে দখলদাররা বিরোধীয় জমিতে ঘর তুলতে জোর চেষ্টা চালালে ওই মুক্তিযোদ্ধা ফরিদপুর কোর্টের শরণাপন্ন হলে বিজ্ঞ আদালত উক্ত জমির ওপর নিষেধাজ্ঞা (১৪৪) জারি করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন