পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় গণধর্ষণের শিকার হয়ে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত রোববার ভোরে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা থেকে মো. সজল মোল্লা নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে নাজিরপুর থানা পুলিশ। সজল মোল্লা কোটালিপাড়া উপজেলার বানারজোড় গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে। এর আগে শনিবার সকালে নাজিরপুর উপজেলার সোনাপুর গ্রামে নিজ বাড়ির সামনের রাস্তার পাশে আম গাছ থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ধর্ষণের লজ্জায় আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সুনীল মন্ডল বাদি হয়ে মো. জিসান (২৭) ও সজল মোল্লা (২৫)সহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে ও আরো দু’জনকে অজ্ঞাত আসামি করে গণধর্ষণের অভিযোগে নাজিরপুর থানায় মামলা করে। সজল এ মামলার দুই নম্বর আসামি। মামলার প্রধান আসামি জিসান উপজেলার মালিখালী ইউনিয়নের ততুবাড়ি গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে। মামলার এজাহারে বাদি উল্লেখ করেন, ভুক্তভোগী বিভিন্ন সময় কেনা-কাটার জন্য গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় যাতায়াত করতেন। জিসান তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতেন। শুক্রবার বিকেলে ভুক্তভোগী কোটালিপাড়ার তরুর বাজার গেলে জিসান তাকে ফের কুপ্রস্তাব দেয়। রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগিকে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায় জিসান।
সেখানে সজলসহ পাঁচজন তাকে গণধর্ষণ করে কোটালিপাড়ার লিংক রোড এলাকায় ফেলে রেখে যায়। এতে ক্ষোভে ও লোক লজ্জায় ভুক্তভোগী আত্মহত্যা করেন।
নাজিরপুর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় তার স্বামীর করা মামলায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন