ভয়াবহ কালবৈশাখী ঝড়ে গফরগাঁও উপজেলা সদরসহ ১৫টি ইউনিয়নে বোরো ফসলসহ নানা রকমের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকদের ঘরে এখন ঘোর অন্ধকার নেমে এসেছে। বিশেষ করে বোরো পাকা ধানের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিচু এলাকায় অনেক বোরো ফসলসহ অন্যান্য ফসল তলিয়ে গেছে। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবারে বোরো বাম্পার ফলন হয়েছিল। চরআলগী ইউনিয়নের চরমছলন্দ গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মোড়ের স্থায়ী বাসিন্দা মো. মুর্শিদ মিয়া জানান, গত বৃহস্পতিবারের ঘুর্ণিঝড় ও বৃষ্টির ফলে চরএলাকার বোরো ফসলের ক্ষতি হয়েছে বেশি। কৃষকদের ঘরে এখন কান্না ভারী হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে বহু গাছপালা পড়ে গেছে। আকাশ একটু মেঘ হলেই পল্লী বিদ্যুৎ চলে যায়। গত বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও গতকাল শনিবার দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। কবে বিদ্যুৎ আসবে তা বলা মুশকিল। গত কয়েক মাসের তুলনায় গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতের বৃষ্টি ও ঝড় বেশি হয়েছে। এ ছাড়া বহু গাছপালা ওপড়ে পড়ে গেছে। অনেক কাঁচা ঘরবাড়ি ধসে পড়ে গেছে। আম, কাঠাল ও লিচুসহ অন্যান্য ফলের ক্ষতি হয়েছে।
বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন জাতের ধানের দাম কমে গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাত হতে শুক্রবার দুপুর ২টা ৩০মিঃ পর্যন্ত উপজেলা সদর পিডিবি ও গ্রাম এলাকায় পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুতের লাইন বিছিন্ন হয়েছে বলে গ্রাহকরা জানান। এতে করে উপজেলা সদর ও ইউনিয়নের পর্যায়ে জনসাধারণের দুর্ভোগ চরমে। বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যবসায়ীদের সংসারে ঘোর অন্ধকার নেমে এসেছে। বিশেষ করে গত কয়েক দিনে ধরে পিডিবির নজিরবিহীন লোডশেডিংয়ে ফলে জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও পিডিবির বিদ্যুৎতের লোভোল্টেসের দরুন নানান ধরনের কার্ষক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন