শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

বাঙালহালিয়ায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের উৎসব

নুরুল আবছার চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৩ মে, ২০২২, ১২:০৩ এএম

রাঙ্গুনিয়ার সংলগ্নে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় রাজস্থলী উপজেলার বাঙালহালিয়ার বিভিন্ন স্থানে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পরিবেশ ধ্বংসের কর্মযজ্ঞ চলছে। নদী, ছড়া ও কৃষি জমিতে ড্রেজার ও শ্যালো মেশিন ব্যবহার করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। উত্তোলিত বালু পাচারের কারণে গ্রামীণ সড়কগুলো, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের ৩৩ লাখ টাকার ব্রিজ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অবৈধ বালু মহালের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ, বলছে স্থানীয় পরিবেশবিদরা। দীর্ঘদিন ধরে কাপ্তাই নদীর বিভিন্ন ঘাট থেকে বালু তোলা হলেও এখন বাঙালহালিয়ার সর্বত্র চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পাহারকাটার চক্রের দৌরাত্ম। বালু খেকোদের নজর থেকে বাদ যাচ্ছে না কৃষি জমিও। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পরিবেশ ধ্বংসের কর্মযজ্ঞ চলছে রাজস্থলী উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে।
উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের নাম ভাঙ্গিয়ে ডংনালা, বাঙালহালিয়া শফিপুর লতিফের বাড়ি সংলগ্ন, কুদুুমছড়া, পুলক চৌধুরীর বাড়ির পূর্বে, ত্রান ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের ৩৩ লাখ টাকার সেতুর পাশের এলাকায় রাতের আধাঁরে এসব বালু পাচার করা হচ্ছে চট্টগ্রাম শহরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। এছাড়া, রাজস্থলী উপজেলার ছাইংখ্যং খাল, বড়ইতলি, নদীর একাধিক স্পটে এমনকি কৃষি জমির গভীর থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু তোলা হচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙনের পাশাপাশি কৃষিজমি হ্রাস পাচ্ছে। উত্তোলিত বালু পাচারের কারণে গ্রামীণ সড়কগুলো চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। রাজস্থলী উপজেলার সুশীল সমাজের বক্তব্য, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও উত্তোলিত বালু রাতের আধারে সমতলে পাচার হয়ে যাওয়ার কারণে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উবাচ মারমা বলেন, উপজেলার বিভিন্ন নদী, ছড়া ও খাল থেকে অবৈধভাবে অবাধে বালু উত্তোলনের কারণে পরিবেশ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বাঙালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আদোমং মারমা বলেন, বাঙালহালিয়াতে ইজারাবিহীন বালু উত্তোলন করে পরিবেশ ধবংসের সাথে প্রভাবশালীরা জড়িত।
এ বিষয়ে রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বলেন, পাহাড়ের খবর কে রাখেন, আমি এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানাইছি। তিনি অপারগতা প্রকাশ করলে আমি প্রশাসনিকভাবে বালু খেকোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পরিবেশ ধবংসের উৎসব বন্ধের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাঙালহালিয়াবাসীরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন