শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

গোদাগাড়ীর লেপ-তোষকের দোকানে কারিগরদের কাটছে কর্মব্যস্ত সময়

মো. হায়দার আলী, গোদাগাড়ী (রাজশাহী) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০১৬, ৯:৫৩ পিএম

গোদাগাড়ী উপজেলাসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলায় শীতের আগমনে লেপ তৈরির কারিগররা এখন ব্যাপক কর্মব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। হেমন্ত শীত ও বসন্তকালে শীতের তীব্রতা বেশি দেখা দেয়। তাই এই সময়ে শীতের কবল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য শীতের পোশাক ও বিছানার লেপ-তোষক প্রভৃতি জিনিসের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি দেখা দেয়। এখন শীতের পোশাক আর শীতের বস্ত্র¿ কম্বল ক্রয় ও লেপ তৈরির করতে হয়। তাই শীতের আগমন লক্ষ্য রেখে লেপ-তোষক তৈরির বোডিংয়ের মালিক-কারিগররা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। শিমুল তুলা, গার্মেন্স তুলা ও কাবাশ তুলার লেপের সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে। শিমুল তুলা ৪৫০, কাবাশ তুলা ১৯০ ও গার্মেন্টস তুলা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে। যার যে সমর্থ রয়েছে, তা হিসেব করেই লেপ তৈরি করছেন। শিমুল তুলার ভালো লেপ তৈরি করে নিতে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার ২শ’ টাকা খরচ হয়। কাবাশ তুলার লেপ তৈরি করে নিতে ১৩শ’ থেকে ১৮শ’ টাকা লাগে। গার্মেন্টস তুলায় লেপ তৈরি করে নিতে ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা লাগে। লেপ-তোষক তৈরির প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন লেপ-তোষক তৈরির ব্যাপক অর্ডার আসছে। তাই লেপ-তোষক তৈরির প্রতিষ্ঠানের মালিক-কারিগরদের কঠিন ব্যস্ততার মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী লেপ-তোষক তৈরি করছেন। অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ ও ফালগুন  মাসে শীতের প্রকোপ বেশি দেখা দেয়। তাই এ সময়ে বিশেষ করে লেপের প্রয়োজনও অনেক বেশি। যতই শীত বাড়বে ততই লেপ তৈরির প্রতিষ্ঠানের মালিক-কারিগরদের ব্যস্ততা আরো বৃদ্ধি পাবে। তাই অনেকেই শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির পূর্বেই লেপ তৈরি করে নেন। গোদাগাড়ী  উপজেলা সদর, মহিশালবাড়ী, রেলবাজার, গোদাগাড়ী, হাটপাড়া, পিরিজপুর, বিদিরপুর, প্রেমতলী, কুমুরপুর, বসন্তপুর, রাজাবাড়ী, কামারপাড়া, বালিয়াঘাটা, রাজাবাড়ী, কাঁকনহাট প্রভৃতি এলাকায় লেপ-তোষক তৈরির প্রতিষ্ঠানের মালিক-কারিগরদের কর্মব্যস্ততা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। মহিশালবাড়ী বাজারের ভাই ভাই বেডিং হাউজের প্রো. মুক্তার হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক আমরা উন্নতমানের লেপ, তোষক, বালিশ, গদি, জাজিম, চায়না চাদর ও বেডশিট সরবরাহ করছি। প্রতিদিন অনেক অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে। কারিগর আবু সাঈদ ও মো.সাগর মিয়ার সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমাদের এ সময়টা লেপ তৈরির কাজে অনেক বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়। ক্রেতাদের চাহিদামতো জিনিস তৈরি করে দেই। সে জন্য এখন দিনে ও রাতে পরিশ্রম করতে হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন