ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সুলতান মাহামুদ মিনি মলিতা (৩৮) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। বৃহস্পতিবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৭ টার দিকে উপজেলার সিমলা-রোকনপুর ইউনিয়নের বড় শিমলা গ্রামের হাইস্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত মিনি মালিতা একই ইউনিয়নের পুকুরিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদ মালিতার ছেলে। সুলতান মাহামুদ মিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে রফিকুল ইসলাম নামে এক বন্ধুর বাগানে দুটি মোটরসাইকেলে ৪ জন লিচু খেতে যায়। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে কালীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত নজরুল ইসলাম ভাই ও তার সাথে আরও এক পুলিশ সদস্য ছিলেন। লিচু খেয়ে ফিরে আসার পথে বড় শিমলা হাই স্কুলের সামনে কয়েকজন যুবক আমার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। সে সময় হাসেম আলীর ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা হয়রত আলী তার ভাই ইউনুস ও মহিকে আমাকে দেখিয়ে দিয়ে মারার নির্দেশ দেয়। তখন তাদের সাথে আসা ১২/১৫ জন সবাই আমার উপর উপর ঝাপিয়ে পড়ে। আমি মটর সাইকেল থেকে পড়ে গেলে তারা বাশঁ লাঠি দিয়ে আমাকে পিটাতে থাকে এক পর্যায়ে ওসি (তদন্ত) বলেন আমি পুলিশের লোক তখন তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।এরপর আমাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে যশোরে রেফার্ড করা হয়।
প্রতক্ষদর্শী রফিকুল ইসলাম জানান, মিনির দুই হাত ভেঙ্গে গেছে এবং দুই পা পিটিয়ে পুরিপুরি থেথলিয়ে দেওয়া হয়েছে। মিনির সাথে তারা আমাকেও মারাক্তভাবে আহত করেছে। তিনি আরও জানান, ওসি (তদন্ত) থাকা অবস্থায় এইভাবে যখম করেছে না থাকলে হইতো মিনিকে আর বাঁচানো সম্ভব হতো না।
কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, বিকালে বড় শিমলা গ্রাম থেকে লিচু খেয়ে ফেরার পথে কয়েকজন সুলতান মাহামুদ মিনির মোটরসাইকেল এর গতিরোধ করে মারপিট করতে থাকে। প্রথমে ব্যাপারটা আমি বুঝে উঠতে পারিনি, এরপর যখন দেখি সত্যি সত্যি হামলার ঘটনা ঘটছে তখন মোটরসাইকেল থেকে নেমে পুলিশ পরিচয় দিলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, গতকালের মারামারির ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। আর কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা যেনো না ঘটে সে ব্যাপারে পুলিশ সতর্ক অবস্থায় আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন