চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ধাইনগর ইউনিয়নের লাউঘাট্টা মহিষডাঙ্গা খালের উপর ভাঙা ব্রিজ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ভারী যানবাহন। ফলে প্রায় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এতে ভোগান্তিতে রয়েছে হাজারো মানুষ। স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে- অর্থ বরাদ্দ পেলেই পুরনো ব্রিজ সরিয়ে নতুন ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। স্থানীয়রা জানায়, ১৯৮৫-৮৬ সালে তৎকালীন সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম ডা. মইনউদ্দিন আহমেদের উদ্যোগে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। সে সময়ে ওই ব্রিজ দিয়ে তেমন ভারি যানবাহন চলাচল করত না। তবে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে নির্মিত হয় ব্রিজটি। কালের পরিক্রমায় এখন এ ব্রিজ দিয়ে চলছে ছোট-বড়সহ ভারী যানবহন। পারাপার হচ্ছে হাজারো মানুষ। ঢালাই ধসে সৃষ্টি হয়েছে মরণ ফাঁদে। পথচারীরা বলছেন- সম্প্রতি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্দেশে ওই ব্রিজের ফাঁদে পট্টি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই পট্টিতে আস্থা নিয়ে চলতে পারছে না ভারী যানবাহনসহ সাধারণ মানুষ। ফলে গর্তের দুই পাশ দিয়ে চলাচলা করছে ট্রাক, পিকআপ, অটো-ভ্যান ও মাইক্রবাসসহ বিভিন্ন যানবাহন। পট্টির পাশ দিয়ে তাকালে খালের পানি দেখা যায়। ভেঙে পড়েছে ব্রিজটির দুই পাশের স্প্যানও। ফলে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ব্রিজটি। শামীমা নামে এক স্কুল শিক্ষার্থী জানায়, এ ব্রিজ দিয়ে এখন প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ মানুষের চলাচল। পাশেই রয়েছে স্কুল। বিশেষ করে সকাল ও বিকেলের দিকে শিক্ষার্থীদের চলাচল বাড়ে। তবে সার্বক্ষণিক ব্রিজের ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে অসংখ্য যানবাহন তো চলছেই। কয়েকদিন আগেও এ ব্রিজে দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দা তরিকুল ইসলাম বলেন, এই ব্রিজের ওপর দিয়ে পোলাডাঙ্গা, ফকিরপাড়া, রানীনগর, দিয়াড়, ধাইনগর, চককীর্তি, ভাটুপাড়া, সিরোপাড়া, বারোমাসিয়া, নামোটোলা, পিরোনটোল, আব্বাস বাজার, কানসাট, মোবারকপুর, হাজিডাঙ্গা ও আঁখিরাসহ প্রায় শতাধিক গ্রামের মানুষ চলাচল করে। এছাড়াও ট্রাক, পিকআপ, অটোরিকশা-ভ্যানসহ বিভিন্ন ধরণের যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। যেকোন সময় খালে পড়ে যেতে পারে যানবাহন।
আহসান হাবিব নামে এক পিকআপ চালক বলেন, প্রায় ৩-৪ বছর থেকে ব্রিজটি ভেঙে পড়ে আছে। এর আগে ব্রিজের মাঝামাঝি স্থানে গর্ত ছিল। কিছুদিন আগে সেই গর্তে দুটি পট্টি দেয়া হয়েছিল। সেই পট্টির উপর দিয়ে ভারী যান চলাচল করতে পারে না নিচে পড়ে যাওয়ার ভয়ে। যদি নতুন করে নির্মাণ না করা হয়, তবে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে আশঙ্কা এই চালকের।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বলেন, অনেক আগে ব্রিজটি নির্মাণ হওয়ায় ব্রিজের সøাব ভেঙে গেছে। ওই স্থানে নতুন করে ব্রিজ নির্মাণের উদ্দেশ্যে সার্পোটিং প্রকল্প আওতায় প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। সামনে অর্থবছরে এটি অনুমোদন হলে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন