বান্দরবানের আলীকদমে অতিথি পাখি আসার ইতিহাস সুদূর প্রাচীন। পশু আসার নজিরও রয়েছে। যেমন, বাঘ, হাতি, হরিণ ইত্যাদি। অতিথি হয়ে গৃহপালিত পশু আসা আলীকদমে এই প্রথম। তাও দলে দলে আসছে ৫-৭ মন ওজনের গরুরপাল। এটা বিশ্বের বিস্ময়কর এক বিরল ঘটনা। অতিথি গরুগুলোর আগমন, এরপর সড়কে ভ্রমণ, যেন বঙ্গের শহর দেখা। এসব নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন ও জল্পনা-কল্পনা।
আলীকদমের জঙ্গলে প্রচুর অতিথি গরু দেখা যাচ্ছে। গরুর মালিকদের হদিস নেই। সাত দিনের পথ পাড়ি দিয়ে অতিথি গরুগুলো বেশ ক্লান্ত এখন। মেহমান গরুগুলো বিচরণে কিছুটা স্বাধীনতা পেলেও খাদ্য সংকটে পড়তে পারে বলে স্থানীয় লোকেরা জানিয়েছেন।
কারণ তারা ইতোমধ্যে সাগর-পাহাড় পাড়ি দিতে গিয়ে খাবার সংকটে কাহিল। বলদগুলো স্বদেশে যে খাবার পেতো, আলীকদমে বেড়াতে এসে সে খাদ্য পাচ্ছে না। তারপরও জঙ্গলে বিচরণ করে কিছু লতাপাতা খাওয়ার চেষ্টা করছে।
বলদের দল যদি আগে জানতো যে, বঙ্গের মানুষ গরু কেন? বাঘ, হাতি, বানরসহ প্রায় সব পশুর খাবার শেষ করে দিয়েছে। তা হলে হয়তো এ গরুর দল বঙ্গের অতিথি হতো না।
এ গরুগুলো প্রসঙ্গে আলীকদম উপজেলা প্রশাসন জানায়, গরুগুলো চোরা কারবারিদের হাত থেকে রক্ষার ব্যপারে আমরা চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে চোরা কারবারিদের হাত থেকে বিজিবি ৪০টি গরু উদ্ধার করেছে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কাজী সরওয়ার জানান, গরুগুলো সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আলীকদমের রিজার্ভ এলাকায় প্রবেশ করেছে। গরুগুলো পরিত্যক্ত, এগুলো রক্ষার ব্যাপারে বন বিভাগের কোনো ভূমিকা নেই। তবে আলীকদমে তিনটি বিজিবি ক্যাম্প রয়েছে, এগুলো তারা নিয়ন্ত্রণ করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন