শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বিশ্বের ৩৩ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ‘অজানা’ ‘অ্যাকিউট হেপাটাইটিস’

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ মে, ২০২২, ১১:৩৯ এএম

বিশ্বের ৩৩ দেশে অন্তত ৬৫০ জন শিশুর দেহে ‘অ্যাকিউট হেপাটাইটিস’ শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত ৫ এপ্রিল থেকে ২৬ মে সময়ের মধ্যে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ৯৯ জন সন্দেহভাজন রোগী পর্যবেক্ষণে রয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, রোগটির উৎস এখনো অজানা, তবে তদন্ত করে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

গুরুতর ও তীব্র এই ভাইরাসকে কখনো ‘অ্যাকিউট হেপাটাইটিস’ আবার কখনো ‘অজানা হেপাটাইটিস’ বলে ডাকা হচ্ছে। রোগটি শিশুদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়াচ্ছে এবং অনেক ক্ষেত্রে লিভারকে অকার্যকর করে ফেলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, রোগটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার তীব্র ঝুঁকি না থাকলেও মাঝারি মাত্রার ঝুঁকি রয়েছে।
গত ২৩ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রথম ‘অজানা হেপাটাইটিস’ রোগের কথা জানায়। সংস্থাটি বলেছিল, বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের শিশুরা অজানা হেপাটাইটিস রোগে আক্রান্ত হয়েছে এবং অব্যাহতভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
রোগটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপীয় অঞ্চলে। এ পর্যন্ত ইউরোপের ২২টি দেশে ৩৭৪ জনের শরীরে এ রোগ শনাক্ত হয়েছে। শুধু যুক্তরাজ্যেই শনাক্ত হয়েছে ২২২ জন। এর পরের অবস্থানে রয়েছে আমেরিকা। আমেরিকা অঞ্চলে শনাক্ত হয়েছে ২৪০, যার মধ্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই ২১৬ জনের শরীরে এ রোগ শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৩৪, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ১৪ এবং পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ৫ জন শিশু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে অজানা হেপাটাইটিস রোগীর সংখ্যা রহস্যজনকভাবে বাড়ছে। এ পর্যন্ত এ রোগে অন্তত ৯ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মার্কিন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা গত সপ্তাহে বলেছেন, সাম্প্রতিক অজানা হেপাটাইটিসের উৎস সম্ভবত অ্যাডেনোভাইরাস। এটি খুবই সাধারণ একটি ভাইরাস যা শিশুদের মধ্যে প্রায়ই দেখা যায়।
ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানিয়েছে, এ রোগ ছড়ানোর পেছনে করোনা সংক্রমণের কোনো ভূমিকা আছে কি না, তা তারা তদন্ত করে দেখছে। সেই সঙ্গে অন্যান্য রোগজীবাণু ও ওষুধের ঝুঁকির কারণগুলোও সিডিসি খতিয়ে দেখছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
jack ali ২৮ মে, ২০২২, ১২:১০ পিএম says : 0
We the human being transgressed all boundary of Allah's order as such all these calamities are befalling on us one after another. O'Muslim give up your sin and repent to Allah so that Allah will lift all the calamities.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন